পার্কস্ট্রিট কান্ড থেকে বিয়ে অস্বীকার, কেরিয়ারের শুরু থেকেই নানান বিতর্কে নুসরত জাহান
নুসরত জাহান (Nusrat Jahan), বর্তমান শাসক দলের প্রতিনিধি। প্রভাবশালী অভিনেত্রী। বেশিরভাগ নেট জনতার প্রশ্ন, এই সমাজে নুসরত জাহানের অবদান কতটা? যখন কেরিয়ার সবে সবে শুরু করেছিলেন তখন থেকেই বর্তমান শাসক দলের সঙ্গে ভালো ঘনিষ্ঠতা ছিল। নুসরতের জীবনের জটিলতা শুরু হয় ২০১২ থেকে। হ্যাঁ, ২০১২ সালে পার্ক স্ট্রিটে (Parkstreet rape case) চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণ করা হয় সুজেটকে। ওই ধর্ষণ কাণ্ডে যুক্ত ছিলেন অভিনেত্রী নুসরত জাহানের তৎকালীন বয়ফ্রেন্ড কাদের খান। পুলিশ সেদিন বাকিদের ধরতে পারলেও কাদের পলাতক ছিল।পরবর্তীতে নুসরত বলেন অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে এবং জানান, কাদেরের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। যদিও একটি হোটেলে কাদের ও নুসরত দেখা করেন এবং এই নিয়ে লেখালেখি হয় সেই সময়। এরপরেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ২১২ (অপরাধীকে আশ্রয়দান ) এবং ২০১ (অপরাধীকে আড়াল করার জন্য মিথ্যাচার ) মামলা কেন দায়ের করা হবে না , তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজ্ঞরাও৷
শাখা সিঁদুর পরে, নিখিল জৈনকে স্বামী স্বীকৃতি দিয়ে এখন তিনি বিয়েকে সহবাস আখ্যা দিচ্ছেন। হতে পারে উনি বর্তমান শাসক দলের সাংসদ, তাই বলে কি হিন্দু ধর্মের মুখে কালি দেবেন? এমন প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছুঁড়ে দিচ্ছেন বহু মানুষ।
বিয়ে হলে বিচ্ছেদ হতেই পারে। বিয়ে যেমন আইন করে এবং সামাজিক নিয়ম মেনে হয়, তেমনই বিচ্ছেদ সামাজিক নিয়ম মেনে অথবা কোর্টে গিয়ে পেপার সাবমিট করে বিচ্ছেদ নেওয়া যায়। কিন্তু, নুসরত জাহান বলেছেন তুরস্ক গিয়ে যা নিয়ম পালন করেছেন তা বিয়ে নয়। কলকাতার বুকে ঘটা করে হয়েছিল রিসেপশন, উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। এ নিয়েও তৈরি হয় নানান বিতর্ক।
বর্তমানে নুসরত জাহান অন্তঃসত্ত্বা । স্বামী নিখিল পিতৃত্ব অস্বীকার করলেও এ কথা সত্যি আজকাল সারোগেসি করেও সন্তানের মা হওয়া যায়। গুঞ্জন উঠেছে, ওই সন্তানের পিতা নাকি যশ দাশগুপ্ত। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। যশ কিংবা নুসরত এই প্রসঙ্গে এখনো মুখ খোলেননি।