Bengali SerialHoop Plus

Aindrila Sharma: মরণোত্তর সম্মান ঐন্দ্রিলার নামে, প্রেমিক সব্যসাচীকে দেখে চমকে উঠলেন নেটিজেনরা

মানুষ চলে যায়, তার কাজ, তার স্মৃতি রয়ে যায় আজীবন। টেলি পাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) প্রয়াত হয়েছেন প্রায় বছর ঘুরতে চলল। কিন্তু দর্শক তাঁকে ভুলতে পারেননি। নিজের কাজের মধ্যে দিয়েই বেঁচে আছেন ঐন্দ্রিলা। তাঁকে ছাড়াই বাকি জীবনটা কাটানোর জন্য নিজেকে মানসিক ভাবে শক্ত করে নিয়েছেন অভিনেতা প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে আবারো দেখা মিলেছে ঐন্দ্রিলা সব্যসাচীর।

২০২২ সালের ২০ নভেম্বর প্রয়াত হন ঐন্দ্রিলা। তার আগে দীর্ঘ ২০ দিন ধরে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। কিন্তু মৃত্যুর সঙ্গে অসম লড়াইয়ে হার স্বীকার করতে হয় তাঁকে। অথচ দু বার ক্যানসার জয়ের পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু আচমকাই একদিনের অসুস্থতা বদলে দিল সবকিছু। হাসপাতালে ২০ দিন ধরে প্রেমিকার পাশ থেকে নড়েননি সব্যসাচী। বলেছিলেন, ঐন্দ্রিলাকে সঙ্গে নিয়েই ফিরবেন। কিন্তু নিজের কথা রাখার সুযোগ পাননি তিনি।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। টেলি অ্যাওয়ার্ডসে মরণোত্তর কৃতী সম্মান দেওয়া হয় ঐন্দ্রিলাকে। তাঁর স্মৃতি স্মরণ করার পর পুরস্কারটি নিতে মঞ্চে ওঠেন প্রয়াত অভিনেত্রীর বাবা মা। ঐন্দ্রিলার একটি ছবি বুকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন তাঁর মা। এদিন চোখের জল বাঁধ মানেনি ঐন্দ্রিলার মায়ের। মেয়ের মরণোত্তর সম্মান নিতে গিয়ে হাউহাউ করে কাঁদছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায় তাঁকে সান্ত্বনা দিতে। ঐন্দ্রিলার ছবিতে প্রণাম করেন তিনি।

এরপরেই দর্শকাসনে দেখা মেলে সব্যসাচীর। অথচ তিনি যেন ঐন্দ্রিলার মায়ের সম্পূর্ণ বিপরীত। শান্ত স্বভাবের জন্য পরিচিত সব্যসাচীকে এদিনও চুপচাপ, শান্ত ভাবেই বসে থাকতে দেখা যায়। শুধু ঐন্দ্রিলার মরণোত্তর সম্মান প্রদানের মুহূর্তটি মুঠোফোনে ধরে রাখেন তিনি। অদ্ভূত ভাবে অসুস্থতার আগে ঐন্দ্রিলা নিজে গিয়ে টেলি অ্যাওয়ার্ডসে বিশেষ সম্মান গ্রহণ করেছিলেন। সেই দৃশ্যও ফুটে ওঠে ভিডিওতে। কিন্তু আজ আর তিনি নেই। তাঁর স্মৃতি সঙ্গে নিয়েই দিন কাটাচ্ছেন তাঁর পরিবার এবং সব্যসাচী।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই