Hoop PlusTollywood

Aindrila Sharma: নিস্তেজ ঐন্দ্রিলাকে দেখে সবার আড়ালে চোখ ভিজল দুই পোষ্য কুকুরের

ঐন্দ্রিলার (Aindrila Sharma) অকাল প্রয়াণে স্বজনহারা হয়েছেন অনেকেই। মেয়েকে হারিয়েছেন বাবা-মা, হৃদয়ের টুকরো যেন খোয়া গেছে সব্যসাচীর (Sabyasachi Choudhury)। তাই জনসমাগম থেকে নির্বাসন নিয়েছেন তিনি। কিন্তু ওরা? ওরা কথা বলতে পারে না। মনের কথা লিখতেও পারে না ফেসবুকের দেওয়ালে। ওরা তো অবলা। শুধু ভেজা চোখে দেখতে পারে তাদের প্রিয় ঐন্দ্রিলার নিস্তেজ হয়ে পড়া অবয়বটা। ওরা বোজো আর তোজো। ঐন্দ্রিলার খুব কাছের দুই সারমেয় পোষ্য। তারা কেমন রয়েছে এখন? কে রেখেছে তাদের খবর?

ঐন্দ্রিলার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির দুই সারমেয় পোষ্যর মধ্যে বোজোই ছিল ঐন্দ্রিলার বেশি কাছের। তুলনায় তোজো ছিল ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্যর প্রিয়। বোজো হল অফ-হোয়াইট পাগ ডগ। বয়স তিন বছর। তোজো হল কালো পাগ ডগ। বয়সে সে কিছুটা ছোট। জানা গেছে, সারাক্ষণই ওরা অভিনেত্রীর পায়ে-পায়ে ঘুরে বেড়াত। সারাক্ষন জড়িয়ে থাকত প্রিয় ঐন্দ্রিলাকে। ঠিক যেন ওরা দুজন হৃদয়ের দুই টুকরো ছিল। কিন্তু রবিবার চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সকলেই। কিন্তু বোজো-তোজো! ওরা কেমন আছে?

জানা গেছে, গতকাল থেকে শূন্যতা টের পেলেও বোজোর মতো ভেঙে পড়েনি তোজো। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুসংবাদ টের পাওয়ার পরই বাড়ির দীর্ঘদিনের পরিচারিকার কোলে মুখ গুঁজে কাঁদতে শুরু করে বোজো-তোজো। তারপর দরজায় টোকা পড়তে ছুট্টে চলে যায় সেদিকে। বন্ধ হয় খাওয়াদাওয়া। ভেতর ভেতর ওরাও যেন ভেঙে পড়ে এই দুঃসংবাদে। তারপর রবিবার সন্ধ্যায় যখন ঐন্দ্রিলাকে শেষবারের মতো বাড়িতে নিয়ে আসা হয়, তখন ওর উপর প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বোজো। পাশেই নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়েছিল তোজো। অনেক কষ্টে ওদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে খাওয়া বা ঘুম দুইই নেই ওদের দুজনের। মনের ভাব ব্যক্ত করতে না পারলেও ওদের চোখেমুখে যেন ফুটে উঠছে সবটা।

বোজো-তোজো হয়তো কখনো ভাবেনি যে তাদের প্রিয় ‘দিদি’ ফিরবে শববাহী গাড়িতে। আর কখনো তারা দিদির কোলে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারবে না। ভালোবেসে আদর করে কোলে তুলে নিতে পারবে না ঐন্দ্রিলা তাঁর দুই ভালোবাসার পোষ্যকে। তাই ওরাও হয়তো নির্বাক হয়ে পড়েছে গতকাল থেকেই, চোখ থেকে ঝরে পড়ছে জল।

Related Articles