শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ ক্যান্সার, মেয়ের কঠিন লড়াইয়ে সাহস জোগাতে ন্যাড়া হলেন ঐন্দ্রিলার বাবা
জিয়নকাঠি ধারাবাহিকের জাহ্নবী ধারাবাহিক নিয়ে বেশ ভালোই ব্যস্ত ছিলেন। মাস তিন আগের কথা। সরস্বতী পুজোর আগের দিন শ্যুটিং ফ্লোরে হঠাৎ করেকাঁধে মারাত্মক যন্ত্রণা শুরু হয়। এরপর শ্যুটিং শেষ করে বাড়িতে ফিরে আসেন। ঐন্দ্রিলার দিদি পেশায় চিকিৎসক। দিদির পরামর্শ অনুযায়ী ঐন্দ্রিলা ব্যথার ওষুধ খাওয়া শুরু করলেন। ফল কিছুই পেলেননা বরং সেই ব্যথা ক্রমশ সহ্যের বাইরে চলে যায়। এরপর চিকিৎসার জন্য দিল্লির এক বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হন ঐন্দ্রিলা। এরপর দিল্লিতে তাঁর বায়োপসি করে জানা যায়, ঐন্দ্রিলার বাঁদিকের ফুসফুসে টিউমার হয়েছে। এই টিউমারটিও আদপে ক্যান্সার।
খুব তাড়াতাড়ি হবে ঐন্দ্রিলার অস্ত্রোপচার। তার আগে নিতে হবে চারটি কেমো। চিকিৎসকরা বলেছেন, টানা ছয় মাস চিকিৎসার মাধ্যমে থাকলে তাহলে ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন ঐন্দ্রিলা। তবে ঐন্দ্রিলা কতটা চিকিৎসায় সাড়া দেবেন, সেটাই এখন আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে চিকিৎসকদের কাছে। এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলার কেমোথেরাপি শুরু হয়েছে। ঐন্দ্রিলার পুরো পরিবার দিল্লিতে রয়েছেন। আর এই কঠিন সময়ে ঐন্দ্রিলাকে সাহস যোগাতে সবসময় তাঁর পাশে রয়েছেন ‘বামাক্ষ্যাপা’ সব্যসাচী চৌধুরী। দিল্লির হাসপাতালে গিয়ে অভিনেত্রীর সাথে সেলফি তোলেন আর সেটি শেয়ার করেছন।ক্যাপশানে লেখা, ‘আমার দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী মহিলার সাথে’।
অভিনয়ের সূত্রেই আলাপ হয় সব্যসাচী আর ঐন্দ্রিলার। তারপর বন্ধুত্ব। প্রথমে কেবল বন্ধুত্বের কথা স্বীকার করলেও এখন যে তারা আর কেবল বন্ধু নয় তার চেয়ে বেশি ফের প্রমাণ হয়েছে এই কদিনে। সব্যসাচী নিজের ধারাবাহিক ‘বামাক্ষ্যাপা’র কাজ সামলে দিল্লিতে বান্ধবীকে মনোবল দিতে উড়ে যাচ্ছেন। আপাতত অভিনেত্রীর দুটি কেমো সম্পন্ন হয়েছে। আগে ঐন্দ্রিলার মাথায় ছিল কোমর ছাপানো চুল। কেমোর প্রভাবে আপাতত চুল নেই তবে এই কঠিন লড়াইতে কাছের মানুষের ভালোবাসাতে মুখে একফোঁটা নেই কষ্ট। মুখে একগাল হাসি দিয়ে অভিনেত্রীর সৌন্দর্য বেড়ে গিয়েছে।
মনের মানুষের সাথে অভিনেত্রীর পুরো পরিবার এই কঠিন সময়ে মুখে হাসি নিয়ে তাঁর পাশে আছেন। ভালবাসার অন্য নাম বোধ হয় পাশে থাকা, বিশ্বাস, ভরসা আর শক্ত করে ধরা হাত । ভালবাসা মানে পিছু হটা নয়, মুখ ফিরিয়ে নেওয়া নয়, বরং হাসি মুখে কাঁধে কাঁধ রেখে সব যুদ্ধ জয় করা। মা বাবা তাঁর সন্তানকে বিনা স্বার্থে ভালোবাসেন। না বলে অনেক কিছু করেন। ঐন্দ্রিলার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়নি। কেমোথেরাপির পর অভিনেত্রীর লম্বা চুল উড়ে গিয়ে মাথা ন্যাড়া হয়ে গিয়েছেন। মেয়ের এই কষ্টে তাঁর বাবাও সব চুল কেটে ন্যাড়া হয়ে গেলেন । মুখে কিছু না বলেও অনেক কিছু করা যায়। এই ছবি শেয়ারের সাথে সাথে অনুরাগীরা ভালোবাসা জানিয়েছেন। নিমেষে ভাইরাল হয় এই পোস্ট।
View this post on Instagram