Hoop PlusTollywood

Sandhya-Shyamal: ঘোড়া কিংবা গাড়ি নয়, সন্ধ্যাকে বিয়ে করতে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে হাজির হন শ্যামল

গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee) চলে গেলেও কয়েক দিন ধরে তাঁকে ঘিরে ঘুরে-ফিরে আসছে বিভিন্ন স্মৃতি। এমনকি শোনা গেল শ‍্যামল গুপ্ত (Shyamal Gupta)-র সঙ্গে তাঁর বিয়ের দিনের কিছু স্মৃতিও। যদিও সন্ধ্যা কোনোদিন এইসব কিছু নিয়ে আলোচনা করতেন না।

সন্ধ্যা ও শ‍্যামলের প্রথম পরিচয় গায়িকা ও গীতিকার হিসাবে। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সূত্রপাত হয়। অসবর্ণ বিবাহে প্রথমে সন্ধ্যার পরিবারের আপত্তি থাকলেও পরে তাঁরা তা মেনে নেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে বিয়ের দিন। সন্ধ্যা ও শ‍্যামলের বিয়ের দিন একটি রাজনৈতিক দল হঠাৎই ধর্মঘট ডেকেছিল। ফলে অচল হয়ে পড়েছিল কলকাতা শহর। সেই সময় বিয়ে করতে আসছিলেন শ‍্যামল। তাঁর গাড়ি আটকে পড়ে। ওদিকে তো লগ্ন বয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যাও বধূবেশে অপেক্ষা করছেন। ফলে অভিনব উপায় বার করেন শ‍্যামল। তিনি মাত্র কয়েকজন বরযাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে উঠে পৌঁছান বিয়ের আসরে। কারণ অ্যাম্বুলেন্সকে আটকানো যাবে না, জানতেন শ‍্যামল।

পরবর্তীকালে সন্ধ্যার মেজ দাদা হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (Hirendranath Mukherjee), ভি.বালসারা (V.Balsara)-র সহায়ক রবীন সরকার (Rabin Sarkar)-এর কাছে এই ঘটনার বিবরণ দেন। কর্মসূত্রে রবীনবাবুর সঙ্গে অনেকের আলাপ থাকলেও সন্ধ্যা ও শ‍্যামলের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন তিনি। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সে করে বিয়ে করতে আসার পর বাসরঘরে বরের কি অবস্থা হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি।

জীবন সায়াহ্নে অসুস্থ শ‍্যামলের সেবা করেছিলেন সন্ধ্যা। সেই সময় তাঁর কেরিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও তা উপেক্ষা করেছিলেন তিনি। 2010 সালে প্রয়াত হন শ‍্যামল গুপ্ত। একা হয়ে গিয়েছিলেন সন্ধ্যা। শখ ছিল বাগান করার, গানের প্রতি নিজেকে আরও সমর্পণ করে দিয়েছিলেন সন্ধ্যা। 15 ই ফেব্রুয়ারি অনেক স্মৃতি পিছনে ফেলে সুরলোকে পাড়ি দিলেন সন্ধ্যা।

whatsapp logo