মঙ্গলবার রাতে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) ভর্তি রয়েছেন হাওড়ার নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের আইসিইউ-তে। নিউরো-সার্জন ডঃ নিলয় বিশ্বাস (Niloy Biswas)-এর তত্ত্বাবধানে ওই রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচার হলেও এখনও অবধি তাঁর জ্ঞান ফিরেছে কিনা তা নিয়ে সঠিক খবর নেই। 4 ঠা নভেম্বর নীরবতা ভেঙে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তাঁর বয়ফ্রেন্ড সব্যসাচী (Sabyasachi)। মিডিয়ার একাংশ ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে অযথা ভুল গুজব রটনা করছেন যাতে ক্ষুব্ধ তিনি। অপরদিকে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা (Shikha Sharma)।
View this post on Instagram
এর আগে সংবাদমাধ্যমে শিখা জানিয়েছিলেন, বুধবার যাতে চোখ মেলেচেন ঐন্দ্রিলা, নাড়িয়েছেন বাঁ হাতের আঙুল। বৃহস্পতিবার ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। একই কথা শুনেছেন শিখা দেবীও। তিনি একাই বাড়িতে রয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন হাসপাতালে। ফলে ফোন করে মেয়ের বিষয়ে শিখা দেবী কিছু তথ্য জানতে পারছেন। নিজের চোখে এখনও দেখেননি ঐন্দ্রিলাকে। মেয়ের কষ্ট অনুভব করছেন মা।
চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না শিখা দেবী। সদাচঞ্চল মেয়েকে চোখের সামনে ওইভাবে পড়ে থাকতে দেখতে পারেন না কোনো মা-ই। তাই হাসপাতালে যাননি তিনি। আটচল্লিশ ঘন্টা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও কোমা থেকে সম্পূর্ণ বেরিয়ে আসতে পারেননি ঐন্দ্রিলা। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে আটচল্লিশ ঘন্টার পরিবর্তে ঐন্দ্রিলাকে বাহাত্তর ঘন্টা অবজারভেশনে রাখা হবে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। বাইরের কাজের পাশাপাশি ঐন্দ্রিলা বাড়িতেও যথেষ্ট অ্যাকটিভ। তাঁর দুই পোষ্যের দেখভাল তিনিই করেন। খেয়াল রাখেন পরিবারের সদস্যদের। তাঁর এই পরিস্থিতি মানতে পারছেন না তাঁর মা।
View this post on Instagram
এই ক্ষেত্রে একটি কথা বলা প্রয়োজন। ঐন্দ্রিলা দুইবার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন, অস্ত্রোপচার, বিভিন্ন ধরনের ওষুধের ফলে কম ধকল যায়নি তাঁর শরীরের উপর দিয়ে। ফলে ঐন্দ্রিলাকে একটু সময় দিতেই হবে। তাঁর জ্ঞান ফিরতে একটু সময় লাগবে। ঐন্দ্রিলার রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে। বিভিন্ন ওষুধের কারণে পালস রেট সামান্য বেশি হলেও তা চিন্তার বিষয় নয়। ঐন্দ্রিলার বয়স অনেকটাই কম। এমআরআই-তে জানা গিয়েছে কোনো চোট পাওয়ার ফলে রক্তক্ষরণ হয়েছে মস্তিষ্কে। তবে সেই রক্ত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বার করে দেওয়া হয়েছে। ঐন্দ্রিলার পরিবারের পাশাপাশি তাঁর অনুরাগীরাও উদ্বিগ্ন। চিন্তিত তাঁর বন্ধুরাও। ‘হুপহাপ’ (HOOPHAAP)-এর তরফ থেকে সকলের প্রতি বিনীত আবেদন, দয়া করে গুজব ছড়াবেন না। ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করুন। নিশ্চিত বিশ্বাস, ফিরে আসবেন তিনি, সব্যসাচীর সাথে, তাঁর মায়ের কাছে। ঈশ্বরকে ফিরিয়ে দিতেই হবে সকলের ‘জিওন কাঠি’ ঐন্দ্রিলাকে।
View this post on Instagram