লকডাউনের সময় গোটা দেশ যখন ঘরবন্দি , তখন ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার হয়েছিলেন নিশা রাওয়াল (Nisha Rawal)। তাঁর স্বামী করণ মেহরা (Karan Mehra)-র নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। গ্রেফতার হয়েছিলেন করণ। কিন্তু এর নেপথ্য সত্য ছিল অনেক গভীর। করণ ও নিশার সম্পর্কের রসায়নে এসে পড়েছিলেন তৃতীয় ব্যক্তি। অথবা হয়তো অনেক আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন তিনি। নিশা নিজের ‘রাখি ব্রাদার’ হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁর। ওই ব্যক্তির নাম রোহিত শেঠিয়া (Rohit Shethiya)। গত মাসে একটি প্রেস কনফারেন্সে করণ তাঁর স্ত্রী নিশার সাথে রোহিতের অবৈধ সম্পর্কের দাবি করেছিলেন। এমনকি করণ জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতেই থাকেন নিশা। ব্যবহার করেন তাঁর উপার্জিত অর্থ। করণ অন্যত্র থাকেন। কিন্তু করণ তাঁর নিজের বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে গেলে তাঁকে রোহিত ও তাঁর লোকজন প্রাণের হুমকি দিয়ে বার করে দেয়।
এমনকি করণের ব্যাঙ্ক থেকে তাঁকে ফোন করা হলে করণের ফোন কেড়ে নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীর সাথে কথা বলেন রোহিত। এই প্রেস কনফারেন্সের পর নিশা কিন্তু মুখ খোলেননি। তবে এর আগে কঙ্গনা রাণাওয়াত (Kangana Ranawat) সঞ্চালিত শো ‘লক-আপ’-এ তিনি বলেছিলেন, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি এক ব্যক্তির সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পরে ওই ব্যক্তির সাথে ব্রেক-আপ হলে নিশা, করণকে তাঁর পরকীয়া সম্পর্কে সত্যি কথা বলেছিলেন। ‘লক-আপ’-এ নিশার এই স্বীকারোক্তির পর বারবার ইঙ্গিত ঘুরছে নিশার দিকেই।
View this post on Instagram
নিশা যে ব্যক্তির সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, তিনি কি তাহলে রোহিত শেঠিয়া? ব্রেক-আপ হয়নি, পুরোটাই ছিল সাজানো? কারণ সম্প্রতি রোহিতের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অবস্থায় নিশাকে দেখা গিয়েছে একটি ফিল্মি পার্টিতে। রোহিত ও নিশার রসায়ন দেখে তাঁরা যে ভাই-বোন নন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পার্টিতে প্রায় পুরো সময়টাই দুজনে একে অপরের সাথে হাতে হাত রেখে কাটিয়েছেন যা তাঁদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। করণের অভিযোগের উত্তরে নিশার বক্তব্য ছিল, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে যা খুশি করতে পারেন, তার সাথে করণের সম্পর্ক নেই। বর্তমানে করণ ও নিশার সন্তান নিশার কাছেই থাকে।
View this post on Instagram
রোহিত, করণ ও নিশার বিয়ের সময় কন্যাদান করেছিলেন। করণের মতে, ভাই-বোনের সম্পর্কের পবিত্রতাকে নষ্ট করে দিয়েছেন রোহিত ও নিশা। কিন্তু এই ক্ষেত্রে প্রশ্ন হল, আদৌ কি রোহিতের সাথে নিশার ভাই-বোনের সম্পর্কের অস্তিত্ব কোনোদিন ছিল? এমনকি এই প্রসঙ্গে করণের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড, সম্পত্তির পরিমাণ জানা অবশ্যই দরকার। এটিও জানা দরকার, নিশাকে কি সত্যিই করণ অত্যাচার করেছিলেন, নাকি অন্য কোনো কাহিনী রয়েছে! বর্তমানে নিশা ও করণের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা শুধুমাত্র পারিবারিক স্থানে সীমিত নেই। এই ক্ষেত্রে সমাজের প্রতিও আদালতের দায়িত্ব রয়েছে। ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে ওঠা রহস্যের সমাধান করতে গিয়ে আদালত যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তার নিশ্চিত প্রভাব পড়বে করণ ও নিশার সন্তানের উপর।