যশ চোপড়ার পরিচালনায় বীর-জারা (Veer-Zaara) মুক্তি পায় ২০০৪ এ। এই সিনেমাটি বহু অ্যাওয়ার্ড পায়। ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, আইফা পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, স্টারডাস্ট পুরস্কার থেকে শুরু করে গ্লোবাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস এ এসে থামে। এই গল্পে জারা হায়াত খান এর ভূমিকায় থাকেন প্রীতি, অন্যদিকে বীর প্রসাদ সিং এর ভূমিকায় থাকেন শাহরুখ। প্রীতি জিন্টা এমনিতেই বাবলি গার্ল, তাঁর শরীর, মুখের মিষ্টত্বে তোলপাড় সারা ইন্ডাস্ট্রি। ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যেকয়টি মুভি করে গেছেন তাঁর সবকটি হিট। প্রীতির মিষ্টি মুখের হাসিতে পাগল ইয়ং জেনারেশন থেকে মধ্যবয়স্ক। যদিও বিভিন্ন অসামাজিক ও অনৈতিক কারনের জন্য প্রীতিকে বিদাই নিতে হয় বলিউড থেকে কিন্তু আপনি কি জানেন এই ‘বীর-জারা’ মুভি প্রথমে করার কথা ছিল রাই সুন্দরীর?
১৯৯৭ সাল থেকে সালমান-ঐশ্বরিয়ার প্রেমের গল্পগাথা শুরু হয়। কিন্তু যেদিন থেকে সালমান-রাই সুন্দরীর সম্পর্কের চিড় ধরতে শুরু করে সেদিন থেকেই সব এলোমেলো হয়ে যেতে শুরু করে ঐশ্বর্যের জীবন। একের পর এক ছবি হাতছাড়া হতে শুরু করে। বিশ্ব সুন্দরী সে, যার নীল চোখে পাগল পুরো দেশ, যেই সময় তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী, তাঁর কেরিয়ার কিনা ল্যাজেগোবরে!
‘দেবদাস’ হিট হওয়ার পর ঐশ্বর্য যেন হারিয়ে যেতে শুরু করলেন। সেইসময় ‘ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ (Bride & Prejudice) রিলিজ করল হলিউডে। পাশাপাশি দুটি হিন্দি সিনেমাও রিলিজ করে কিন্তু তেমন সাফল্য পায়নি। ‘ধুম ২’, ‘যোধা আকবর’, এর পর একে কোন সিনেমা হিটের পথে নিয়ে যেতে পারেননি। বচ্চন পরিবারের সুবাদে ‘বান্টি আউর বাবলি’ (Bunty Aur Babli) তে একটি আইটেম সং এর দৃশ্যে অভিনয় করেন। তখন থেকেই গুঞ্জন ওঠে যে রাই সুন্দরী বচ্চন পরিবারের দিকে ঝুঁকছেন। অভিষেকের সঙ্গে শুরু হয় প্রেম। এমনকি ২০০৭ এ বিয়েও করে নেন তিনি। যেই মেয়ে বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট জয় করে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন তাঁর কেরিয়ার যেন ‘খান’ সুবাদে ধ্বংস হয়ে যায়। সেইসময় শাহরুখ খান বহু সিনেমা থেকে ঐশ্বর্যকে বাদ দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ‘বীর জারা’ অন্যতম।
অবশ্য কিং খান এসব কাজের জন্য বহুবার ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু তাতে কি? খান দের ‘খানদানি’ চক্রান্তে বহু সুন্দরী, প্রতিভাবান হারিয়ে গেছেন।