ভাঁড়ার শূন্য ‘খড়কুটো’র, একই দশায় ‘মোহর’, ক্রমশই কমছে নতুন পর্ব আসার সম্ভাবনা
গত মাসের ১৬ তারিখ থেকেই টলি পাড়ার দোরগোড়ায় তালা ঝুলছে। সকল কলাকুশলীরা এখন বাড়িতেই। আগে যা যা শ্যুটিং করা ছিল, সেগুলি এক প্রকার চলছে অল্প অল্প করে। দর্শকদের বিনোদনের জন্য অল্প অনুষ্ঠান আর বিজ্ঞাপন দিয়ে সময় গ্যাপ ঠিক করা হচ্ছে। একদম নৈবেদ্য এর মতন করে দর্শকরা একদিন তাদের প্রিয় ধারাবাহিক দেখলেন। আগামী দুদিন হয়তো তারা দেখতে পারবেন, কিন্তু তার পর কি হবে?
‘শ্যুট ফ্রম হোম’ করে ধারাবাহিক চালিয়ে যাওয়া সহজ ব্যাপার নয়। এছাড়াও এই প্রসঙ্গে বিভক্ত হয়েছে আর্টিস্ট ফোরাম এবং ফেডারেশন। ধারাবাহিকের ভান্ডার ঘর এখন শূন্য। যা যা শ্যুট করা ছিল তার অধিকাংশ দেখানো হয়ে গিয়েছে। এদিকে বাড়ি থেকে শ্যুট করা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়েছে ফেডারেশন এবং আর্টিস্ট ফোরামের মধ্যে। কিসের বিরোধ?
সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছে, যেখানে বলা আছে, বাড়ি থেকে শ্যুট করা হলে সেই ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীরাও তাঁদের ন্যায্য পারিশ্রমিক পাবেন। ফেডারেশনের বক্তব্য, বাড়ি থেকে শ্যুট করা হলে শুধু অভিনেতা এবং প্রযোজকের ঘরেই টাকা আসবে। কলাকুশলীরা কিছুই পাবেন না। কারণ শ্যুট ফ্রম হোম করলে মেক আপ আর্টিস্ট, বা অন্যান্য টেকনিশিয়ানদের প্রয়োজন পড়বে না, ফলে তারা উপার্জন থেকে বঞ্চিত হবেন।
এদিকে, হাতে আর সময় নেই। খড়কুটো ও মোহর-এর মত ধারাবাহিকের ৩রা জুন তারিখের পর কী হবে কেউ জানে না। এপিসোডের ব্যাংকিং নেই, কোনো শ্যুটিং নেই, কাজ নেই, তবে দর্শকরা কী দেখবেন টিভি খুলে? এরই মধ্যে কলাকুশলীদের অধিকাংশের বক্তব্য, যদি শ্যুটিং এখনও পর্যন্ত শুরু না করা হয় তবে দর্শকরা তাদের প্রতিদিনের বিনোদন থেকে বঞ্চিত হবেন। এখন দেখার পালা টলিপাড়ার উত্তেজনার জল কোন দিকে গড়ায়।