Skin Care Tips: ত্বক হবে কাঁচের মতো উজ্জ্বল, বাড়িতে বানিয়ে মেখে ফেলুন হাইড্রেটিং ফেস মাস্ক
ত্বকের পরিচর্যার জন্য ফেস মাস্ক ভীষন জরুরী। নতুন ফেস মাস্ক আমরা অনেকেই এটা বিশ্বাস করতে চাই না বা দোকান থেকে নামি দামি ফেস মাস্ক। কিন্তু বাইরে থেকে যতই ব্র্যান্ডেড কোম্পানির ফেসওয়াশ কিনে আনেননা কেন, বাড়িতে তৈরি করা ফেস মাস্ক এর কিন্তু আলাদা ভূমিকা রয়েছে। তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন বাড়িতে কিভাবে সহজ উপায়ে বানিয়ে ফেলবেন ফেস মাস্ক।
১) শশার রসের ফেস মাস্ক – শসার রস বার করে রাখতে হবে। এরপর ফেস মাস্ক প্রথমে তৈরি করতে হবে। তার জন্য একটি বড় টিস্যু পেপার নিতে হবে। চোখ আর ঠোঁটের জায়গা আপনার মতন করে কেটে নিতে হবে। তারপরেই টিস্যু পেপারকে শসার রসে ডুবিয়ে প্রায় ৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর সেই টিস্যুপেপার আপনার মুখের ওপরে প্রায় আধ ঘন্টার মতন রেখে দিন। আর মাঝে মধ্যে শসার রস দিয়ে ভালো করে টিস্যু পেপার ভিজিয়ে নিতে হবে। এইভাবে যদি করতে পারেন, দেখবেন বাড়িতে কি সুন্দর তৈরি করতে পারবেন ফেস মাস্ক।
২) পাতিলেবুর ফেস মাস্ক – পাতিলেবুর রস এর মধ্যেই মাস্ককে খুব ভালো ভাল করে ভিজিয়ে রাখতে হবে। মুখের উপরে প্রায় ১০ মিনিটের মতন রেখে দিন, সমস্ত কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
৩) টমেটোর ফেস মাস্ক – টমেটোর রস এর মধ্যে ফেস মাস্ক বেশ অনেক্ষণ ধরে ডুবিয়ে রাখুন। তারপরে এতে মুখের মধ্যে লাগিয়ে বেশ অনেক্ষণ রেখে দিন। দেখবেন, আপনার ত্বক ফ্রেশ হয়ে গেছে, আপনাকে আলাদা করে আর বাইরে থেকে কিনে আনতে হবে না।
৪) অ্যালোভেরা জেল ফেস মাস্ক – অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে ফেস মাস্ক বেশ খানিকক্ষণ দিতে হবে। তারপরেই মাস্ক আপনি যদি মুখের মধ্যে লাগাতে পারে, এটি অসাধারণ একটি নাইট ক্রিম হিসেবেও কাজ করবে। মাঝে মধ্যে ফেস মাস্ক শুকিয়ে গেলে অ্যালোভেরা জেল এর মধ্যে দিয়ে দিন। দেখবেন, আপনার ত্বক কত সুন্দর হয়ে গেছে।
৫) আলুর রসের ফেস মাস্ক – আমরা অনেকেই জানিনা, আলুর রস আমাদের ত্বকের জন্য আলু, কতখানি উপকারী আলু গ্রেট করে রস বার করে এই ওপরে বলা পদ্ধতিতেই ফেস মাস্ক বানিয়ে ফেলুন। আর তারপরে এই ফেস মাস্ক আপনি যদি আপনার মুখের উপরে লাগিয়ে অন্তত প্রায় আধ ঘন্টা রেখে দিতে পারেন, তাহলে দেখবেন আপনার ত্বককে সুন্দর ও পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।