মোগাম্বো খুশ হুয়া! আজও এই ডায়লগ কানে এলেই অমরিশ পুরীর সেই বীভৎস মুখ ভেসে ওঠে। বলিউডের খতরনাক খলনায়ক তিনি। সাতের দশকে বলিউডে তাঁর পদার্পণ। খুব কম বয়স থেকে থিয়েটার করতেন অমরিশ। বরাবর ইচ্ছা ছিল, বলিউডে পা রাখবেন, অভিনয় করবেন। কিন্তু তিনি এও মানতেন যতটা করবেন তা নিজের প্রচেষ্টায়। ফেভার তিনি কখনো নেননি। তার দাদা সিনেমা জগতে থাকলেও, তার থেকে তিনি কখনই সাহায্য চাননি।
একবার হলিউডের এক সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ তাঁর নিজের ছবিতে অমরিশ পুরীকে নিয়েছিলেন। ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য টেম্পল অফ ডুম’ ছবিতে অমরিশ পুরী মুখ্য ভিলেন অর্থাৎ ‘মোলা রাম’-এর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই পরিচালক একবার এক সাক্ষাৎকারে অমরিশ পুরী সম্পর্কে বলেন, “আমার চোখে দেখা তুখোড় খলনায়ক চরিত্রাভিনেতা অমরিশ পুরী। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের সেরা খলনায়ক, ওরকম প্রতিভাবান অভিনেতা পরে হয়তো আর কেউ হবে না।”
টাকা পয়সা উপার্জন করলেই বেরিয়ে পরতেন এদিক ওদিক। বড্ড বেশি ভ্রমণপিপাসু ছিলেন এই খলনায়ক। বাইক নিয়ে এদিক ওদিক চলে যেতেন। এবার যখন টাকার দরকার হত, ফিরতেন, অভিনয় করতেন আবার গায়েব হতেন।
আরব্য রজনী’-র গল্প অবলম্বনে ১৯৯১ সালে তৈরি হয় ‘আজুবা’ ছবিটি। এখানে অমরিশ অভিনয় করেছেন দুষ্টু উজিরের চরিত্রে, আবার ‘নাগিনা’-তে ভৈরবনাথ নামের এক সাধকের চরিত্রে,এরপর দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিতে সিমরান অর্থাৎ কাজলের বাবার ভূমিকায়, ‘পরদেশ’ ছবিতে জাঁদরেল ব্যবসায়ীর ভূমিকায়। আসলে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বয়স কোনো বিষয় নয়, যদি সদিচ্ছা ও মনের জোর থাকে তবে যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিও নিজেকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।