বাঙালির বিরুদ্ধে বারবার উঠেছে রাজনীতির অভিযোগ। এখনও অবধি বাঙালিদের একাংশ সহ্য করতে পারেন না অন্তর্বর্তী সমস্যাগুলি যার মূল কারণ ঈর্ষা। সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly), সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)-রা বিভিন্ন সময়ে বাঙালির একে অপরের প্রতি ঈর্ষার ঘটনা তুলে ধরেছেন। এবার এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক হলেন ‘সারেগামাপা’ খ্যাত অনন্যা চক্রবর্তী (Ananya Chakraborty)।
সম্প্রতি অনন্যা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্ট করে লিখেছেন, তিনি ও স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক (Snigdhajeet Bhowmik) বলিউডে প্লে ব্যাকের সুযোগ পাওয়ার পরেও জয় সরকার (Jay Sarkar) ও মধুবন্তী বাগচী (Madhubanti Bagchi) ছাড়া কেউ তাঁদের শুভেচ্ছা জানাননি। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অংশ হওয়ার সবচেয়ে বড় হতাশা এটাই বলে মনে করেন অনন্যা। তাঁর মতে, এত বছর পর কলকাতা থেকে দুটি ছেলে মেয়ে মুম্বইয়ের নামী প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করেছে। কিন্তু তাদের জন্য একটি ফোন কল বা হোয়্যাটসঅ্যাপে মেসেজ করে কেউ একবারও বলেননি, অনন্যা ও স্নিগ্ধজিৎ খুব ভালো গেয়েছেন। অথচ সেই মানুষগুলিকেই সারা জীবন অনন্যাদের মতো শিল্পীরা অনুসরণ করেছেন। তাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
View this post on Instagram
তবে অনন্যা জানিয়েছেন, তিনি ও স্নিগ্ধজিৎ ভবিষ্যতে বলিউডে বহু বড় শিল্পীর জন্য প্লে ব্যাক করবেন। ফলে তাঁদের কিছু যায় আসে না। পাশাপাশি যাঁরা তাঁদের গান শুনেছেন, তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনন্যা। জয় সরকার অনন্যাকে উৎসাহ দিয়ে বলেছেন এগিয়ে যেতে। কারণ তিনি মনে করেন এটি বাঙালি জাতির সমস্যা। মধুবন্তীও মনে করেন, শুভেচ্ছা জানানো হোক বা না হোক, অনন্যার কৃতিত্ব অনস্বীকার্য। অপরদিকে মেখলা দাশগুপ্ত (Mekhla Dasgupta)-র মতে, অনন্যা নিজের ঢাক পেটাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, অনন্যা ও স্নিগ্ধজিৎ, হৃত্বিক রোশন (Hrithik Roshan) অভিনীত ফিল্ম ‘বিক্রম ভেদা’-র গান ‘অ্যালকোহলিয়া’ গেয়েছেন। তবে অনন্যা বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট করলেও বর্তমানে পোস্টটি দেখা যাচ্ছে না। সম্ভবতঃ পোস্টটি রিপোর্ট করা হয়েছে।
View this post on Instagram