সম্প্রতি বইমেলায় পকেটমারি কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। শনিবার দিন সন্ধ্যা বেলায় এক মহিলাকে পুলিশ বইমেলার ব্যস্ত ভিড়ে ডাস্টবিনে মানিব্যাগ ফেলতে দেখেন। তখনই পুলিশদের সন্দেহ হয়। মহিলাটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় মহিলাটি ব্যাগ সার্চ করে পুলিশ প্রচুর মানিব্যাগ এবং অনেক টাকা পায়। মহিলাটির আসল পরিচয় জানতে পেরে পুলিশদের চোখ কপালে উঠে যায়।
এই পকেটমার আর কেউ নয় অঙ্কুশের প্রথম সিনেমার নায়িকা রূপা দত্ত। ২০১০ সালে কেল্লাফতে সিনেমার মধ্যে দিয়ে অঙ্কুশ এবং রূপা দু’জনেই টলিউডে পথ চলা শুরু করেন। তারপর অঙ্কুশ টলিউডের লম্বা সফর করলেও রূপা যেন হারিয়ে যায় লাইমলাইট থেকে।
সম্প্রতি অঙ্কুশ ইনস্টাগ্রামে তাঁর প্রথম ছবি কেল্লাফতের একটি গানের দৃশ্যের ভিডিয়ো শেয়ার করে বলেন যে ভাগ্যিস তখন তাঁর মানিব্যাগে ক্যারি করার মত পয়সা থাকত না। এর জন্যে তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেন।
View this post on Instagram
একটি সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব না থাকলেও কথাবার্তা ছিল। কথা বলা, হাঁটাচলায় বেশ আভিজাত্য ছিল রূপার। সম্ভবত তিনি ‘কেল্লাফতে’ ছবির এক জন প্রযোজকও ছিলেন। ছবিটির বক্স অফিসের অঙ্কে তাঁর শেয়ারও ছিল। তিনি স্বচ্ছল পরিবারের একজন বলেই জানতেন অঙ্কুশ। তাঁর প্রথম নায়িকার বই মেলায় এরকম পকেটমারির ঘটনা তাঁকে অবাক করে দিয়েছে।
এতগুলো বছর ধরে রূপা সম্পর্কে কোন তথ্যই তাঁর কাছে ছিল না। অঙ্কুশ জানতেন রূপা ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে গিয়েছে। এমনকি অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্বন্ধে অঙ্কুশ বিন্দুমাত্র জানতেন না।
অভিনেত্রীকে নিয়ে কড়া ঠাট্টা প্রসঙ্গে অঙ্কুশ বলেন, “সেই সময়ে সত্যিই আমার কাছে কোনও টাকা থাকত না। বাবা যে ১০০-১৫০ টাকা দিত, তা প্যান্টের পকেটে রেখে দিতাম। শ্যুটিংয়ে পৌঁছে গেলে তো বাকি খরচ প্রোডাকশনেরই। সে কথাই লিখেছি। আলাদা করে কাউকে নিয়ে মস্করা করিনি।”
এককালের অভিনেত্রী এখন হালে হাতসাফাই করেন। কিন্তু তদন্তে উঠে এসেছে তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। অভিনেত্রীর এই অভ্যেস বহু পুরানো দিনের ছিল। প্রচুর টাকা উপার্জন করেছেন তিনি এই ভাবে। এমনকি পুলিশরা তাঁর থেকে একটি ডায়রিও পেয়েছে যেখানে তিনি তাঁর সমস্ত পকেটমারির হিসাব তুলে রাখতেন।