Urmi-Satyaki: পর্দায় মাখোমাখো প্রেমের রসায়ন হলেও বাস্তবে কেমন সম্পর্ক উর্মি-সাত্যকির!
কিছুদিন আগেই এক বছর পূর্ণ করল জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’। গত এক বছর ধরে এই রাত দশটা বাজলেই ডিনার করতে করতে বাঙালির এন্টারটেইনমেন্টের একটাই ঠিকানা তা হল জি বাংলার এই সিরিয়াল। উর্মি এবং টুকাই বাবুর প্রতি মুগ্ধ এখন গোটা বাংলার মানুষ।
পর্দায় উর্মি এবং সাত্যকি হিট জুটি। উর্মির যতই খারাপ সময় হোক না কেন পাশে ঢালের মতো দাঁড়িয়ে আছে তার টুকাই বাবু। তারা একসঙ্গে যেকোনো অপরাধীর পর্দাফাস করতে সক্ষম। কখনো উর্মির মন খারাপ থাকলে স্নেহের পরশে আগলে রাখে সাত্যকি। পর্দায় এত ভালো রসায়ন যাদের বাস্তবে তারা কি প্রেম করছেন? এমন প্রশ্ন তো উঠতেই পারে।
একটি সাক্ষাৎকারে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অন্বেষা। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে বাস্তবে কি টুকাই বাবু এবং উর্মি প্রেম করছেন? অন্বেষা তো প্রশ্ন শুনে চমকে যান।
একটু ধাতস্থ হয়ে তিনি পরিষ্কার ভাষায় উত্তর দেন ভগবান যদি বলে তার কাছে কোন অপশন নেই আর ঋত্বিক মুখার্জি হচ্ছে পৃথিবীর শেষ পুরুষ অন্বেষার ঋত্বিকদাকে যদি কেউ বলে অন্বেষা পৃথিবীর শেষ নারী তাদেরকে বিয়ে করতে হবে তাহলে তারা মরে যাবেন তবু একে অপরকে বিয়ে করবেন না। এমনটাই বক্তব্য অন্বেষার। কোনদিনও তারা একে অপরের সঙ্গে প্রেমের বন্ধনেও জড়াবেন না। কারণ তাদের মধ্যে প্রেম করার সেই সম্পর্ক নেই। তারা একসঙ্গে কাজ করতে যথেষ্ট কম্ফোর্টেবল। তাদের নিজস্ব একটা বন্ধুদের গ্রুপ রয়েছে। তাদের পারস্পরিক বোঝাপড়া খুব ভালো। ক্যামেরা অফ হলে তারা সেরা জুটি থেকে ভাই বোন হয়ে যায়। প্যাক-আপের পর তাঁরা কয়েকজন মিলে জমিয়ে আড্ডা মারেন, সারাদিন শুটিং এর গল্প বলেন এবং পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খান। কখনো কখনো অন্বেষা বাবার অমতে মোমো খেয়ে ফেলেন।
বর্ধমানের মেমারি শহরের মেয়ে অন্বেষা। সেখান থেকে কলকাতায় যোগমায়া দেবী কলেজে মনোবিদ্যা অনার্সে স্নাতক পড়তে আসেন। সেখানে পড়তে পড়তে হঠাৎ একদিন অভিনয়ে চলে আসেন তিনি। পর্দার উর্মি যে এখন শুধু অভিনয় নিয়ে মগ্ন কারো সাথে প্রেম করার তার বিন্দুমাত্র সময় নেই একথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন।