Aparajita Adhya: রেডিওর মধ্যে লুকিয়ে রাখা বাবার টাকা বদলে দিয়েছিল অপরাজিতার ভাগ্য
রেডিও যেদিন আবিষ্কার হয়, সেদিন হয়তো রেডিওর উদ্ভাবকও জানতেন না , আর কোনো দেশে না হোক, বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিশেষ স্থান দখল করবে তাঁর আবিষ্কার। তৈরি হবে এক অদ্ভুত নস্টালজিয়া। বাঙালির শারদ সূচনা রেডিওর মাধ্যমেই। একবিংশ শতকেও তরুণ প্রজন্ম অসম্পূর্ণ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র (Birendra Krishna Bhadra) ছাড়া। অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya) হাওড়ার মেয়ে। কথিত আছে, হাওড়ার প্রতিটি ঘরে একটি হারমোনিয়াম ও একটি রেডিও মিলবেই। জি বাংলার রিয়েলিটি শো ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’ সঞ্চালনা করতে গিয়ে তাঁর কন্ঠে উঠে এল মেয়েবেলার নস্টালজিক মুহূর্ত।
শৈশবে স্কুলে যাওয়ার সময় অপরাজিতা শুনতে পেতেন, ঘরে ঘরে বাজছে রেডিও। তার সাথে সঙ্গত করছে সকালের চায়ের ধোঁয়ার চনমনে গন্ধ। অপরাজিতার বাবা ভালোবাসতেন রেডিও শুনতে। বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন মাপের রেডিও ছিল তাঁর সংগ্রহে। তবে রেডিও ছিল প্রকৃতপক্ষে অপরাজিতার বাবার গোপনীয়তার স্থানও বটে। অপরাজিতার বাবা রেডিওর ব্যাটারি রাখার স্থানে টাকা রাখতেন। তাঁর মনে হত, এই জায়গাটি টাকা রাখার জন্য সবচেয়ে সুরক্ষিত। এই কথা অপরাজিতা জানতে পেরেছিলেন তাঁর বাবার মৃত্যুর পর। বাবা প্রয়াত হওয়ার কয়েক মাস পর অপরাজিতা ওই রেডিওটি পরিষ্কার করতে গিয়ে লুকিয়ে রাখা টাকা পেয়েছিলেন। ঘুরতে শুরু করল অপরাজিতার ভাগ্যের চাকা। কিন্তু তার আগে প্রচন্ড আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন তাঁর পরিবার।
আজও অপরাজিতার মনে হয়, রেডিও মানুষের জীবনে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। জীবনে বহু লড়াই করেছেন অপরাজিতা। সংসার চালাতেই এসেছিলেন অভিনয়ে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম অপরাজিতা।
স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘জল থই থই ভালোবাসা’-র মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন অপরাজিতা। পাশাপাশি অভিনয় করছেন একাধিক ফিল্মেও।
View this post on Instagram