‘কলকাতার রসগোল্লা’ করে যেই মেয়ে আসতে আসতে হয়ে ওঠে ‘দাদার কীর্তি’র বিনি বা ‘১৯ উনিশে এপ্রিলে’র অদিতি, সেই মেয়ে একদিন হটাৎ করেই রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন। টানা দশ বছর মানুষটি সিনে জগৎ থেকে আলাদা ছিলেন। একটা সময় তিনি ভারতীয় লোকনৃত্যকে পাশ্চাত্য মঞ্চে উপস্থাপনা করেন এবং ধ্রুপদী ও লোকনৃত্যের সংমিশ্রণে এক অপূর্ব নৃত্যকৌশলী রচনা করেন। এই মানুষটিই ১৯৯৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। বাংলা সিনে জগতে তার অবদান অনেক গুণ বেশি।
এই সেই দেবশ্রী রায় টানা দশ বছর পর ফের লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন এর গণ্ডিতে পা রাখেন। এবার আর বড় পর্দায় নয়। ছোট পর্দায় সর্বজয়া হয়ে কামব্যাক করছেন তিনি।
যখন বাংলার জনতা প্রথম জানতে পারে যে দেবশ্রী রায় রাজনীতি ছেড়ে ধারাবাহিকে আসছেন, অনেকেই সমালোচনা করেন, কটাক্ষ করেন। অভিনেত্রী নিজেও বুঝতে পারেননি তার স্বাগত এভাবে হবে। প্রতিবাদ তিনি জানিয়েছিলেন, কিন্তু থেমে যাননি। শ্যুটিং ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে সর্বজয়া ধারাবাহিকের। চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে সম্প্রচার হবে এটি।
এই ধারাবাহিকে দেবশ্রী একজন পাকা গৃহবধূ। তিনি তার সন্তানদের বড় করার জন্য নিজের জীবনের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছেন। সংসারের জন্য নিজের প্রতিভা বিসর্জন দিতে দু’বার ভাবেননি। সংসার, স্বামী, সন্তান পুরোপুরি তাঁর উপর নির্ভরশীল। আর এতেই তাঁর সুখ। তার লড়াই এই গল্প দেখানো হবে প্রতিটা ছত্রে ছত্রে। ঠিক এরই মাঝে নিজের সুপ্ত স্বপ্নগুলো প্রকাশ করলেন মিডিয়াকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে। অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়ের কথায়, “দেবশ্রী রায় অভিনেত্রী না হলে ডান্সার হত। স্টেজ পারফর্মার। একই সঙ্গে সিঙ্গার হত।”