রুপোলি পর্দা থেকে রান্নাঘর, সবটা সামলাতেই এখন বেশ পটু অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী (Subhashree Ganguly)। একদিকে যেমন একের পর এক সিনেমায় তার নজরকাড়া অভিনয়, অন্যদিকে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakroborty) ঘরণী তিনি। সঙ্গে আবার ছোট্ট ইউভানকে সামলানো, সবটাই একাহাতেই সামলান টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী। কিন্তু তার শৈশব ঠিক কেমন ছিল? কতটা ডানপিটে ছিলেন অভিনেত্রী? সেই কথা জানিয়েছিলেন দিদি নং ওয়ানের গত সিজনের একটি এপিসোডে। এবছর নবম সিজনের মাঝেই ফের ভাইরাল শুভশ্রীর সেই ভিডিও।
দিদি নং ওয়ানের (Didi No. 1) মঞ্চে মা বীনা গাঙ্গুলীর পাশে দাঁড়িয়েই অকপটে নিজের শৈশবের কথা স্বীকার করেছিলেন শুভশ্রী। এই এপিসোডে অভিনেত্রী বলেন, “একটা সময় আমরা সবাই মিলে একটা জায়গায় যেতাম। জায়গাটা একটু দূরে ছিল। তাও সবাইকে একসাথে হেঁটেই যেতে হত। তাই আমরা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে লিফট চাইতে শুরু করলাম। বর্ধমানে তখনও লিফট ব্যাপারটা এতটা চালু ছিল না। তবে একজন বাইক নিয়ে দাঁড়ালেন। আমি আর আমার এক বোন বাইকে উঠলাম। কিছুদূর যেতেই আমাদের ভয় করতে শুরু হল। তখন আমার ওই বোন আমাদের সঙ্গে পুলিশের ঘনিষ্ঠতার মিথ্যে একটা গল্প বলল। সবশেষে মজার বিষয় হল যখন আমাদের গন্তব্যে নামিয়ে বাইকের চালক বললেন, তিনি আমার বাবার পরিচিত বলেই লিফট দিলেন।” শুভশ্রীর এই ঘটনা শুনে হাসির রোল উঠেছিল অনুষ্ঠানের মঞ্চে। দমফাটা হাসি হেসে ফেলেন সঞ্চালিকা রচনাও।
তবে এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভশ্রীর মা বীনা দেবীও মেয়ের শৈশব নিয়ে মেয়ের সামনে দাঁড়িয়ে অকপটে বলেন, “ও তো কোনোদিনই পুতুল বা খেলনা নিয়ে খেলেনি। বরাবর ক্রিকেট, ফুটবল খেলেই ওর শৈশব কেটেছে। ছোট থেকে ওর সবকিছুই ছিল ছেলেদের মতো”। এছাড়াও মেয়ের প্রশংসাও করেন বীনা দেবী। তিনি এদিন বলেন, “এখন তো ও আমার মা হয়েছে, আমি ওর মেয়ে। আমার খুবই যত্ন করে। আমায় খুব ভালোবাসে ও। এখন আমার সময় কেটে যায় ছোট্ট গোপাল সোনাকে নিয়েই”।
প্রসঙ্গত, মাতৃত্বের দু’বছর কেটে গেছে শুভশ্রীর। তবে তারপর ফিল্মি কেরিয়ারেও কামব্যাক করেছেন রাজপত্নী। বক্স অফিসে শুভশ্রীর শেষ রিলিজ ছিল ‘বৌদি ক্যান্টিন’। খুব শীঘ্রই নায়িকা শুরু করছেন নতুন ইনিংস। ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’-এ ৭৫ বছর বয়সী প্রৌঢ়ার ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। এই প্রথম ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ডেবিউ হচ্ছে শুভশ্রীর।