‘ফ্লোরে আর কেউ মিতুল বলে ডাকবে না’, ‘খেলনাবাড়ি’-র শেষ দিনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন আরাত্রিকা
পুজোর মুখে অন এয়ার হয়েছে একাধিক নতুন ধারাবাহিক। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পুরানো ধারাবাহিকগুলির টিআরপি কম থাকলে তা অফ এয়ার করে দিচ্ছে চ্যানেল। জি বাংলার ধারাবাহিক ‘খেলনাবাড়ি’-ও এবার এই তালিকাভুক্ত হল। দীর্ঘদিন ধরে সম্প্রচারিত এই ধারাবাহিকের শেষ শুটিং হল বুধবার। দাসানি স্টুডিওর মেকআপ রুমে শেষবারের মতো মিতুল সাজলেন আরাত্রিকা মাইতি (Aratrika Maity)। তবে ‘খেলনাবাড়ির’-র টিআরপি কিন্তু এখনও অবধি যথেষ্ট ভালো। তবুও এই ধারাবাহিকটি অফ এয়ার হওয়ার ঘোষণায় মন খারাপ কূশীলবদের। ‘খেলনাবাড়ি’ আরাত্রিকার ডেবিউ ধারাবাহিক।
‘খেলনাবাড়ি’-র শুটিংয়ের শেষ দিনে আরাত্রিকা জানালেন, তাঁর অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবেন না। তিনি জানেন, দাসানি স্টুডিওতে বারবার সেট ভাঙা-গড়ার খেলা চলে। কিন্তু তবু মন খারাপ রয়েই যায়। টেলিভিশনের পর্দার মতো তাঁদের অফস্ক্রিন রসায়ন যথেষ্ট মজবুত বলে জানালেন আরাত্রিকা। ইদানিং কয়েক মাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ ধারাবাহিক। কিন্তু ‘খেলনাবাড়ি’ পার করেছে পাঁচশো পর্বের মাইলস্টোন। এতগুলি বছর ধরে গোটা ইউনিটটা হয়ে উঠেছিল একটি পরিবার। আরাত্রিকা জানালেন, সকাল থেকে রাত অবধি শুটিং ফ্লোরে কাটালেও কখনও তাঁর মনে হয়নি, তিনি কাজ করছেন।
কুড়ি বছরের আরাত্রিকা প্রথম ধারাবাহিকেই অভিনয় করেছেন মায়ের চরিত্রে। মিতুলের সাথে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কারণ মিতুল আর পাঁচজন নায়িকার মতো নয়। সে দর্শকদের ঘরের মেয়ে। মায়ের চরিত্র নিজের প্রাণ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন আরাত্রিকা। শেষ দিন অনস্ক্রিন সন্তানের সাথে শুটিং করতে গিয়ে মন খারাপ হয়েছিল তাঁর।
তবে আরাত্রিকার মতে, দর্শকরা কখনও চাননি ‘খেলনাবাড়ি’ বন্ধ হোক। কারণ এই ধারাবাহিকের কাহিনী একঘেয়ে যায়নি। এই কারণে ধারাবাহিকের টিআরপিও যথেষ্ট ভালো ছিল। ফলে মন খারাপ লাগলেও ভালো টিআরপি ও দর্শকদের গ্রহণযোগ্যতা থাকতে থাকতেই ‘খেলনাবাড়ি’ সময়ের নিয়মে বন্ধ হচ্ছে, এই কথা ভেবে কিছুটা হলেও খুশি আরাত্রিকা। নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হতে চলেছে ‘খেলনাবাড়ি’-র শেষ সম্প্রচার।
View this post on Instagram