‘রান্নাঘর রিয়্যালিটি শোয়ের সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায় অহঙ্কারী’ , এই কথা বহুবার সংবাদের পাতায় এসেছে। বহুবার তিনি নিন্দার মুখে এসে ঠেকেছেন তারই বলা কথা নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুদীপা যথেষ্ট সক্রিয়, তাই তার মনের কথা মাঝে মধ্যেই পোস্ট করেন এবং সকলের সঙ্গে শেয়ার করেন যা পরবর্তীতে সমালোচনার ঝড় বয়ে আনে। এবারেও সেই একই ঘটনার শিকার সঞ্চালিকা সুদীপা। এবারে তিনি খাবার ডেলিভারি বয়ের ফোন কল করা নিয়ে একটি পোস্ট করেন, যা নেট পাড়ায় চর্চার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরবর্তীতে অবশ্য একই রকম ভাবে পোস্ট ডিলিট করেছেন সুদীপা। কিন্তু, পোস্ট ডিলিট করলেও এক সময়ের শিশু শিল্পী অরিত্র সুদীপাকে ছাড়েন না। তাকে রীতিমত অহঙ্কারী তকমা দিয়ে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
২০০৩ সালে তিথির অতিথি মেগাসিরিয়ালের অভিনয়ের মাধ্যমে উঠে আসেন অরিত্র দত্ত বণিক। এরপর, দর্শকদের নজর কাড়েন মিঠুন চক্রবর্তীর নাচের রিয়্যালিটি শো ‘ড্যান্স বাংলা ড্যান্স জুনিয়র’ (২০০৭) এ তাথৈ দেবের সাথে উপস্থাপনার মাধ্যমে। পরবর্তীতে বেশ কিছু বাংলা সিনেমায় (যেমন – পরাণ যায় জ্বলিয়া রে, লে ছক্কা, হাঁদা ভোঁদা ইত্যাদি ইত্যাদি) কাজ করেছেন অরিত্র।
সম্প্রতি, সুদীপা অরিত্র প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমে বলেন , “অরিত্র জীবনে কী করেছে যে ওর কথা আমায় শুনতে হবে”? এখানেই থামেননি তিনি। এরপরে সুদীপা পরিবার টেনে এনে বলেন, “আমি যতদূর জানি অরিত্র যখন ছোট ছিল তখন ট্র্যাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালে ওর বাবা-মা’ই বলতেন ভেতরে অরিত্র আছে। আর তা ছাড়া ও কে? কী করেছে জীবনে যে ওর কথা শুনতে যাব? বড়দের সম্মান দিতে জানে না। আমরা কিন্তু কখনওই আমাদের আগের প্রজন্মের সঙ্গে এভাবে কথা বলার সাহসটুকু পর্যন্ত পাইনি।” এরপরেও সঞ্চালিকা থামেননি, তিনি এও বলেন, “আসলে ও তো এখন কিছু করে না, তাই আমার মনে হয় আমার নামটাকে নিয়ে যদি একটু পেজটার সক্রিয়তা বাড়াতে পারে সেই কারণেই ওসব লিখেছে ও”।
পরিবার টেনে কথা বলায় রেগে যান অরিত্র। এখন তিনি আর শিশু শিল্পী নন। একজন অ্যাডাল্ট মানুষ। তাই নিজের পেজে এসে একটি সংবাদ সংস্থাকে ট্যাগ করে অরিত্র সুদীপা চট্টোপাধ্যায়কে এক হাত নেন। দারোয়ানদের অসম্মান করার মর্মে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়কে স্পষ্ট কথায় বুঝিয়ে দেন কেউ ছোট নয় এবং কোনো কাজ অসম্মানের নয়।