Hoop PlusTollywood

কলকাতার মতো গোঁজামিল দিয়ে কাজ হয় না, বলিউডে পা রেখেই মন্তব্য অরিত্রর

শিশুশিল্পী অরিত্র (Aritra Dutta Banik)-কে কে না চেনে! তবে তিনি এখন আর শিশুশিল্পী নেই। রীতিমতো টিনএজ-এ পা দেওয়া ঝকঝকে অভিনেতা হয়ে গেছেন অরিত্র। সম্প্রতি তিনি বলিউডেও অভিনেতা হিসাবে ডেবিউ করেছেন।

ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন অরিত্র। মুম্বই ও রাজস্থানের বিভিন্ন অংশে ওয়েব সিরিজটির শুটিং হয়েছে। শুটিংয়ের শেষে অরিত্রকে কেক কেটে শুভেচ্ছা জানানো হল। বলিউডের এই অভিনব সম্মানে আপ্লুত অরিত্র ফেসবুকে কেক কাটার আগের মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এটাই তাঁর প্রথম স্ক্রিন অ্যাপিয়ারেন্স। শুটিং ইউনিটে অরিত্রর দুটি পরিচয়পত্র ছিল, অভিনেতা ও টেকনিশিয়ান। তাঁর শুটিংয়ের শেষ দিন টেকনিশিয়ানরা পনেরো মিনিটের অফিশিয়াল ব্রেক ঘোষণা করেছিলেন। কারণ অরিত্রর শুটিং শেষ হতেই তাঁরা কেক কেটে সেলিব্রেট করতে চেয়েছিলেন। অনেক হাততালি ও আশীর্বাদের সঙ্গে এই দিনটি তাঁর জীবনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অরিত্র। এই ওটিটি প্রজেক্টে সুযোগ দেওয়ার জন্য সমগ্র শুটিং ইউনিটের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

তবে ওয়েব সিরিজের কাহিনী সম্পর্কে এখনই কিছু খোলসা করেননি অরিত্র। এটি বলিউডের একটি হিন্দি ওয়েব সিরিজ যেটি মুক্তি পাবে 2022 সালে। এর শুটিং করোনার আগে হওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। করোনা অতিমারীর পর গ্রাস করেছিল অনিশ্চয়তা। তবে অবশেষে শুটিং হয়েছে। অরিত্র জানিয়েছেন, ওয়েব সিরিজটির কাহিনী যুবসমাজকে নিয়ে। এটি কোনো ফ্যামিলি ড্রামা নয়। এই ওয়েব সিরিজের একমাত্র বাঙালি অভিনেতা তিনিই। এর আগে ‘কহানী -2′-এর জন্য অডিশন দিলেও তিনি সুযোগ পাননি। কিন্তু সেই অডিশন ক্লিপ মুম্বইতে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকেই পরে ডাক আসে। অরিত্র দ্বিতীয়বার মুম্বইতে অডিশন দিয়ে সিলেক্টেড হন। পাকা বা কমেডি চরিত্রের ধারা থেকে বেরিয়ে এসে এখানে নতুন অরিত্রকে দেখতে পাবেন মানুষ বলে জানিয়েছেন তিনি।

বলিউডে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন অরিত্র। তিনি বলেছেন, শুটিংয়ের আগে দীর্ঘদিন ধরে রিহার্সাল হয়। অভিনেতাদের সঙ্গে প্রোডাকশনের সম্পর্ক অনেকটাই স্ট্রাকচার্ড। তবে বাজেটের পাশাপাশি প্রফেশনালিজম-এর ব্যাপারটাও তুলে ধরেছেন অরিত্র। তিনি জানিয়েছেন, মেকআপ, হেয়ার থেকে শুরু করে অ্যাকসেসরিজের কন্টিনিউইটির দায়িত্ব প্রোডাকশন টিমের হাতে থাকে। কলকাতার মতো গোঁজামিল দেওয়া কাজ মুম্বইতে হয় না। তাঁরা সঠিক স্থানে সঠিক জিনিস প্রয়োগ করতে জানেন।

whatsapp logo