Hoop NewsHoop Trending

Arpita Mukherjee: পার্থ-অর্পিতার রগরগে রোম্যান্সের গোপন খাতা খুললেন গাড়িচালক প্রণব ভট্টাচার্য

আগুন আর ঘি পাশাপাশি থাকলে ঘি যেমন গলবে তেমনই আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে। সেই আগুন জ্বলেছে অর্পিতা পার্থর জীবনে। অবশ্য, ইডি নামক হায়নার কাছে এই দুজন এখন নিতান্ত অসহায়। ইডি হেফাজতে থাকতে থাকতে অর্পিতা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে পার্থ ও তার কর্মীরা তার ফ্ল্যাটে টাকা রাখতেন যেটা তার ধরা বারণ ছিল। টাকা, সোনা, বৈদেশিক মুদ্রা সবই থাকতো অর্পিতার ঘরেই, কিন্তু টাকা ছোঁয়া যাবে না।

প্রয়োজন বা কি? এমনিতেই পার্থ সোনায় সোহাগা করে রাখতেন অর্পিতা নামক কুখ্যাত মডেল তথা অভিনেত্রীকে। কখনো দামী শাড়ি তো কখনো সোনার গহনা। বারাসত ও গড়িয়ার ‘র সাহা টেক্সটাইল থেকে আসতো ব্যাগ ভর্তি ভর্তি শাড়ি, যদিও সেই ব্যাগে শুধু শাড়ি নাকি শাড়ির সঙ্গে টাকার লেনদেন হতো বলা মুশকিল। পাশাপাশি নামি সোনার দোকান থেকে অর্পিতার জন্য আসতো বহুমূল্য গহনা।

সিনেমার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে রঙিন দুনিয়ায় পা রাখেন অর্পিতা, কিন্তু রাতারাতি হয়ে ওঠেন রাজরানী। শাড়ি, গাড়ি, গয়নার কোনো অভাব ছিল না তার। পার্থ সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছিলেন অর্পিতাকে।

সম্প্রতি, ইডি র জেরায় মুখ খোলেন অর্পিতার ড্রাইভার প্রণব ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ”প্রায় দিনই রাতে ম‌্যাডামকে নিয়ে যেতাম নাকতলায়, স‌্যরের বাড়িতে। নামিয়ে দেওয়ার পরে ম্যাডাম আমাকে বলতেন, চলে যাও। থাকার দরকার নেই।” এখানে ‘স্যর’ মানে অবশ্যই পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়, এবং, ‘ম্যাডাম’ হলেন পার্থবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় (Arpita Mukherjee)। প্রণব জেরায় এও বলেন যে সন্ধ্যায় ম‌্যাডামকে নাকতলায় নিয়ে যাওয়ার পর ম‌্যাডাম কখনও গাড়ি রেখে দিয়ে তাকে ফিরে যেতে বলতেন, কখনও ড্রাইভার গাড়ি নিয়েই ফিরে আসতেন। কখন, কত রাতে, ম্যাডাম ওখান থেকে বেরতেন, কীভাবে ফিরতেন তিনি সেই ব্যাপারে জানতেন না বলে দাবি।

Related Articles