করোনা আবহে বিপর্যস্ত জনজীবন। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য করোনা মহামারীর রূপ নিয়েছে। তার মধ্যেই নেটদুনিয়াকে নস্টালজিক করে তুললেন স্বর্ণযুগের তিন বলিউড সুন্দরী। ওয়াহিদা রেহমান (wahida Rehman), হেলেন (Helen), আশা পারেখ (Asha parekh)। নামগুলির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একরাশ ভালোলাগা। আজ তিনজনেই আশির কোঠায়। কিন্তু তাতেও খামতি নেই তাঁদের এনার্জিতে। সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাঁদের আন্দামান সফরের ছবি।
গত এপ্রিলে ওয়াহিদা, আশা, হেলেন গিয়েছিলেন আন্দামান সফরে। তিন নায়িকার আন্দামান সফরের ছবি শেয়ার করেছেন বলিউড প্রযোজক তনুজ গর্গ (Tanujj garg)। তনুজের শেয়ার করা ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে বলিউডের এখনকার দিভাদের মলদ্বীপ ভ্রমণের ছবিকে হার মানিয়ে দিয়েছেন হেলেন, ওয়াহিদা, আশা। ওয়াহিদার পরনে ছিল জিনস-শার্ট, হেলেন ও আশা আবার কুর্তি-পালাজোতেই ছিলেন স্বচ্ছন্দ। কিন্তু তাঁদের।ছবিগুলি দেখে বোঝা যাচ্ছে, ‘দে আর চিলিং’। তনুজও বলেছেন, ‘দিল চাহতা হ্যায়’ ফিল্মের রিমেক হলে আশা, ওয়াহিদা, হেলেনকে অনায়াসেই মানিয়ে যাবে।
ওয়াহিদা ও আশা বরাবর স্বর্ণযুগের তুখোড় অভিনেত্রী। ওয়াহিদার বলিউডে প্রবেশ ঘটেছিল ‘মেন্টর’ গুরু দত্ত (Guru Dutta)-এর হাত ধরে। এরপর কেউ থামাতে পারেনি তাঁকে। তাঁর অভিনীত ফিল্ম ‘গাইড’ সকলের নজর কেড়েছিল। এই ফিল্মে শুধু অভিনয়ই নয়, ওয়াহিদা তুলে ধরেছিলেন তাঁর নাচকেও। ওয়াহিদার নৃত্যকৌশল সেই সময় রীতিমত জনপ্রিয় হয়েছিল। এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে ‘আজ ফির জিনে কি তমন্না হ্যায়’ অথবা ‘তেরে মেরে সপনে’। তুলনামূলক ভাবে আশা ছিলেন অন্য ধারার অভিনেত্রী। কিন্তু ‘ইয়ে সাম মস্তানি’ গানে তৎকালীন সুপারস্টার রাজেশ খান্না(Rajesh khanna)-র বিপরীতে সাদা থান পরিহিতা আশার নির্বাক অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে সেন্সর বোর্ডের চেয়ারপার্সনের পদও অলঙ্কৃত করেছেন আশা পারেখ।
বার্মার ডাক্তারের মেয়ে হেলেন কোনোদিন ভাবতে পারেননি রূপোলি পর্দার কথা। শৈশব থেকেই তিনি ব্যালে শিখতেন। ছোটবেলায় কোনোদিন অভাব ছিল না কিছুর। কিন্তু হঠাৎই বাবার মৃত্যুর পর অভাবের তাড়না নেমে এল সংসারে। হেলেন তাঁর ভাইবোন ও মাকে নিয়ে চলে এলেন ভারতে। পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে রোজগারের তাগিদে জুনিয়র আর্টিস্টের কাজ শুরু করলেন হেলেন। একসময় কাজে এসে গেল ব্যালেও। ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সারের কাজ শুরু করলেন হেলেন। কিন্তু তাঁকে সাফল্য এনে দিল ‘হাওড়া ব্রিজ’ ফিল্মের গান ‘মেরা নাম চিন চিন চু’। ধীরে ধীরে বলিউডের ক্যাবারে কুইন হয়ে উঠেছিলেন হেলেন। হেলেন জানতেন তাঁর রঙিন আইশ্যাডো ও আইল্যাশ মাদকতা জাগায় সকলের মনে। আজও হেলেনের নাচ অতীত নয়। টিভির চ্যানেল ঘোরাতে ঘোরাতে হেলেনের নাচ দেখালেই দর্শক মুগ্ধ হয়ে যান আবারও।
বলা হয়, সুন্দরীদের মধ্যে নাকি বন্ধুত্ব হয় না! আজ আশা, ওয়াহিদা, হেলেনের বন্ধুত্ব নজর কাড়লেও ষাটের দশকেও কি চিত্রটা এমন ছিল? সে গল্প নাহয় আরেক দিন বলব!
View this post on Instagram