হইচই-এর বিখ্যাত ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’-র দৌলতে বাংলাদেশের নায়িকা আজমেরি হক বাঁধন (Azmeri Haque Badhon) রীতিমত জনপ্রিয়। তাঁর দক্ষ অভিনয় সকলের মন কেড়ে নিয়েছে। সৃজিত মুখার্জী (Srijit Mukherjee) পরিচালিত এই ওয়েব সিরিজটি ছিল ওটিটিতে বাঁধনের কেরিয়ারের মাইলস্টোন। কিন্তু তাঁর যাত্রাপথ তথাকথিত সহজ ছিল না।
এক অন্ধকার সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন বাঁধন। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা উচিত, বাঁধনের এই সমস্যা শুধুমাত্র বাংলাদেশের নয়, সমগ্র পৃথিবী জুড়ে তা বিদ্যমান। কিন্তু মহিলারা নিজেদের সংসার টিকিয়ে রাখার তাগিদে বছরের পর বছর মুখ বুজে এই অত্যাচার সহ্য করে যান। পরিবারের সদস্যদের সাথে এখনও সাহস করে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না মেয়েরা। কারণ বৈবাহিক ধর্ষণ কথাটি শুনলেই একবিংশ শতকে এখনও অবধি মেয়েদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় স্বামীর অধিকারের কথা। 2010 সালে মোশরুর হোসেন সিদ্দিকি সনেটকে বিয়ে করেছিলেন বাঁধন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, পড়াশোনা করতে করতেই বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁকে পড়াশোনা করতে দিতেন না। বন্ধুদের সাথে বাঁধনকে যোগাযোগ ছিন্ন করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
View this post on Instagram
শ্বশুরবাড়ির এই নিয়ম মেনে নিয়েছিলে বাঁধন। সকলে বলেছিলেন, সন্তান এলে সব ঠিক হয়ে যাবে। বাঁধন কাউকে বলতে পারেননি, রাতের পর রাত তাঁকে ধর্ষণ করেছেন তাঁর স্বামী। একসময় কন্যাসন্তানের মা হন বাঁধন। এরপরেই 2014 সালে বাঁধন বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর পড়াশোনা শেষ করেন বাঁধন। আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের (Abdullah Mohammed Sader) নির্মিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর মাধ্যমে ফিল্মে আত্মপ্রকাশ করেন বাঁধন। পাশাপাশি মেয়েকে নিয়ে একাই থাকতে শুরু করেন তিনি।
বাঁধন অভিনীত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ আন্তর্জাতিক কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম বাংলাদেশী ফিল্ম নির্বাচিত হয়। নজর কাড়ে বাঁধনের স্টাইল স্টেটমেন্ট। নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাঁধন। খুব শীঘ্রই বিশাল ভরদ্বাজ (Vishal Bharadwaj) পরিচালিত ফিল্ম ‘খুফিয়া’-র মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করতে চলেছেন বাঁধন।
View this post on Instagram