রাজনৈতিক জগতের প্রখর রোদের মধ্যেও বসন্তের বাতাস এনে ফেলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee)। তরুণ প্রজন্মকে দশ গোল দিয়ে নতুন ‘কাপল গোলস’ বানিয়েছেন তাঁরা। রঙমিলান্তি পোশাক থেকে শুরু করে দূর্গা পুজোর দশমীতে সবার সামনে বৈশাখীর সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দেওয়া, কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে যেন নতুন ভাবে দেখেছে রাজ্যবাসী। নতুন করে দেখিয়েছেন বৈশাখী। এখন দুজনের নাম একত্রে উচ্চারিত হয়। অনেকেই এমন প্রেম দেখে কথায় কথায় বলেন, যেন বশ করেছে! বৈশাখীও কি তেমন কিছু করেছেন নাকি?
এক সাক্ষাৎকারে বৈশাখী জানান, তাঁর প্রাক্তন স্বামী মনোজিতের ক্ষেত্রে সত্যিই নাকি তাবিজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন একজন। বৈশাখীর এক সহকর্মী তাঁকে ১৮ টি শেকড় সম্বলিত একটি তাবিজ দিয়েছিলেন। সেটা পরলেই নাকি মনোজিৎ তাঁর বশে এসে যাবেন, এমনটাই বলা হয়েছিল তাঁকে। যদিও বৈশাখীর হাতে সেটা দেখে মনোজিৎ মন্তব্য করেছিলেন, ‘আদ্যিকালের ধ্যান ধারণা’। পালটা বৈশাখী বলেছিলেন, নিজের এমন পাশবিক ভাবমূর্তি বানিয়ে রেখেছেন বলেই তাঁকে এসব দেওয়া হচ্ছে সম্পর্ক ঠিক করার জন্য।
বৈশাখী বলেন, তাঁর যতই দুঃখ কষ্ট হোক তিনি তাও হাসিখুশি থাকেন। কারণ তাঁকে একজন বলেছিলেন, জীবনে যত দুঃখই আসুক না কেন, তিনি যেন সর্বদা হাসিখুশি থাকেন। নাহলে তাঁকে কষ্টে দেখলে আরো ১০০ জন মানুষ হেরে যাবে। বৈশাখীর কথায়, তাঁর হাসিখুশি মুখ দেখেই মানুষ ভাবে যে তিনি এসব তাবিজ কবজ করেন।
তবে বৈশাখীর স্পষ্ট কথা, তাঁর তাবিজ কবজের দরকার নেই। তাঁর মতো মেয়েরা একাই থাকতে সক্ষম। বরং এই ধরণের পুরুষদের থেকে দূরে থাকার জন্য যদি কিছু করতে হয় তিনি সেটা করতে রাজি। শোভনকে পেয়ে অবশ্য মনোজিতের দেওয়া দুঃখ ভুলেছেন বৈশাখী। আপাতত শোভনের সঙ্গে সহবাস সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। কিন্তু সুখে আছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ জনেরাও এই সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন। তবে বিয়েও করবেন বলে জানান বৈশাখী। তাঁর বন্ধুরাও নাকি খুব আনন্দ করবেন তাঁদের বিয়েতে।