Winter Care: শীতে ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করুন কলা, সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে রেজাল্ট পাবেন দুর্দান্ত
সকালবেলা বেরোলে বেশ গায়ে একটা চাদর দিতে লাগছে, কিংবা সন্ধ্যেবেলায় উত্তরের শিরশিরে হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত আসতে আর বেশি বাকি নেই। ক্যালেন্ডার যদিও বুঝিয়ে দিচ্ছে শীত পড়ে গেছে, তা সত্ত্বেও আপনার ত্বক বোঝাচ্ছে যে শীত চলে আসছে। তবে, এই শুধুমাত্র শুষ্কতাই নয়, অনেক সময় এই শুষ্কতা থেকে ত্বকের উপরে র্যাশ, চুলকানি অনেক বেশি বেড়ে যায়।
তবে এর জন্য বাজার চলতি কোন নামিদামি ক্রিম আপনাকে কিনতে হবে না। বাজার থেকে ঘরোয়া উপাদান হিসেবেই যেগুলো আপনি প্রতি মাসে নিয়ে আসেন। তবে আজকে আমাদের রূপ চর্চার প্রধান উপাদান মানে অনেকটা বলতে পারেন কিন্তু কলা। ঠিক শুনেছেন পেকে যাওয়া কলাকে একেবারে ফেলে দেবেন না, এইভাবে ব্যবহার করুন আপনার রূপচর্চার কাজে । তাই আর দেরি না করে, আমাদের Hoophaap এর পাতায় দেখে ফেলুন শীতকাল আসার আগে পরে কিভাবে আপনি রূপচর্চা করবেন
১) কলা, নারকেল তেল, কর্পূর – কর্পূর ত্বকের উপরে হওয়া চুলকুনি দূর করতে সহজেই সাহায্য করে। কলা, নারকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে এই মিশ্রণটি যদি চুলকানি বা র্যাশের ওপর লাগাতে পারেন, তাহলে একেবারে কমে যাবে।
২) কলা, দুধের সর – বেশি চুলকুনির ওপরে যদি দুধের সর খুব ভালো করে লাগাতে পারেন তাহলে দেখবেন র্যাশ আর চুলকানি একেবারে কমে গেছে। দুধের সর চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। কলা চুদকে তার মধ্যে দুধের সর মিশিয়ে মেখে ফেলুন।
৩) কলা, ওটস, কাঁচা দুধ – কাঁচা দুধের মধ্যে কলা,ওটস ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি মিক্সির মধ্যে দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে এই মিশ্রণটা যদি আপনি অনবরত লাগাতে পারেন, তারপরে খুব ভালো করে ঠান্ডা জলে স্নান করে নিতে পারেন, তাহলেও কিন্তু অনেক উপকার পাবেন। কি খুব ভালো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে বিশ্বশত শীতকালে আমাদের ত্বকের ওপরে মরা কোষ দূর করতে সাহায্য করে এই স্ক্রাবার।
৪) কলা, মধু – কলা ভালো করে চটকে নিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে ফেলুন। আর এই মিশ্রণটি মুখে, গলায়, ঘাড়ে, পিঠে খুব ভালো করে লাগিয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার ত্বকের ওপরে চুলকুনি ভাব শুষ্কতা একেবারে দূর হয়ে গেছে।
৫) কলা, নারকেল তেল, পাতিলেবুর রস, পরিমাণ মতো চিনি – কলা, পাতিলেবুর রসের সঙ্গে পরিমাণ মতো চিনি খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এর মধ্যে নারকেল তেল খুব ভালো করে লাগিয়ে নিন। তারপরে মিশ্রণটিকে মুখে, গলায়, পিঠে ভালো করে লাগিয়ে আধঘন্টা রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। অন্তত একদিন যদি এই স্ক্রাবার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে দেখবেন ত্বক একেবারে দুধের মতন ফর্সা আর নরম তুলতুলে হয়ে যাবে।
চুলের যত্নে ব্যবহার করুন কলা-
২) এক বাটি ভাত, কাঁচা দুধ এবং কলা এই তিনটি উপকরণকে খুব ভালো করে মিক্সির মধ্যে দিয়ে ভালো করে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর একটি ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিয়ে পরিষ্কার মাথায় ভালো করে লাগিয়ে অন্তত এক থেকে দেড় ঘণ্টা রেখে দিন, তারপরে শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
৩) যাদের ডিমে কোনো অসুবিধা হয় না, তারা ব্যবহার করতে পারেন একটি থেকে দুটি ডিম এবং এর মধ্যে দিতে পারেন কফি পাউডার আর টক দই, কলা এই চারটি উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন এবং ভালো করে পরিষ্কার চলে মাথার একদম ডগা থেকে আর একদম আগা পর্যন্ত খুব ভালো করে লাগিয়ে এক থেকে দুই ঘন্টার মতন রেখে তারপরে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।