Bangladeshi Hilsa: বড় উপহার পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ, পুজোর আগেই ইলিশে ছেয়ে যাবে কলকাতার বাজার
ভারত ও বাংলাদেশ- উভয় দেশের মানুষজন মাছ খেতে ভীষণই পছন্দ করেন। তবে মাছের মধ্যে সবথেকে সুস্বাদু হল ইলিশ (Hilsa)। ইলিশ মাছের নামেই তো অনেকের জিভে জল এসে যায়। আর বিশেষ উৎসবের দিনে তো ইলিশ হলে কোনো কথাই নেই। এদিকে উৎসবের সময় আসন্ন। আর মাসখানেক পরেই আসছে দুর্গাপূজা। তাই পুজোর আনন্দের সঙ্গে ইলিশ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলে তো পুজো পুরো জমে যাবে।
আর এবার বাঙালির দুর্গাপূজার রসনাতৃপ্তির ক্ষেত্রে আসছে সুখবর। পুজোর আগেই রাজ্যে ঢুকতে চলেছে বিখ্যাত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ। সাধারণত স্বাদ ও গন্ধের জন্য পদ্মার ইলিশ হল পৃথিবী বিখ্যাত। আর পুজোর সময়েই এই সুস্বাদু রুপোলি ফসলের আগমন ঘটে বাংলায়। ফলে পুজোর সপ্তাহে কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য বাজারেও যোগান থাকে বাংলাদেশী ইলিশের। আর এবছরও তার অন্যথা হবেনা বলেই আশা করা যাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের একটি বৈঠকের পরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ঘোষণা করেন যে দুর্গাপুজোর আগে পাঁচ হাজার টন ইলিশ রফতানিতে ছাড় দেওয়া হবে। আর এই রফতানি মূলত হবে ভারতেই। অর্থাৎ কলকাতা সহ বাংলার একাধিক বাজারে আসতে চলেছে বাংলাদেশি ইলিশ। তবে এই বিষয়ে সেদেশে বিতর্ক তৈরি হয়। এবছর ইলিশ কম, তাও রফতানি কেন- এই প্রশ্নও উঠেছে। তবে বাংলাদেশ সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে এর মূল উদ্দেশ্য উৎসবের মরশুমে প্রতিবেশী দেশকে উপহার দেওয়া।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ১০০-র বেশি মৎস্য রপ্তানিকারক এই বিষয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। তবে এবার আবেদনপত্র বাছাইয়ের বিষয়েও বিশেষভাবে নজর দিয়েছে ওপার বাংলার সরকার। তার অন্যতম কারণ হল গতবছরের ইলিশ রপ্তানিতে ঘাটতি। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর বাংলাদেশের মোট ৪৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন করে মোট ২,৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক ওই নির্ধারতির পরিণাম ইলিশ সরবরাহ করতে পারেনি।তাই এবার এই বিষয়ে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। তবর ভিনদেশী ইলিশের দাম কেমন হবে, তা জানা যায়নি এখনো।