কিছুদিন আগেই রাজকে বিয়ে করেছেন পরীমনি। যৌন হেনস্থা থেকে শুরু করে মাদক কাণ্ডে নাম জড়ানোর কারণে বাংলাদেশের শিরোনামে বেশ পাকাপাকি ভাবে টিকে আছেন ওপার বাংলার সুন্দরী অভিনেত্রী পরীমনি। তাঁর স্বামীও একজন নামকরা অভিনেতা। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পঞ্চমবার নিজের বাড়িতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন পরী। আনন্দ অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি তো বটেই তার সাথে সাথে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সদস্যও তেমন কেউ উপস্থিত ছিলেন না সেখানে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নতুন দম্পতির হাতে গোনা কয়েকজন আত্মীয় পরিজন তাঁর মামা, মামি, দাদু এবং চয়নিকা চৌধুরীও। যিনি পরীমণির কাছে মা-এর মতো। রাজের সঙ্গী হয়েছিলেন তাঁর মা, বাবা এবং ভাই-বোন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী। বরাবরই পরিচালক গিয়াস উদ্দিন পরীর হয়ে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলে আসছেন। এবারও একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, ‘আমার ‘গুণীন’ ছবির সেট থেকেই গোপন ভাবে সম্পর্ক গড়েছেন ওঁরা। কিছুদিন আগেই তা জানলাম। ওঁদের এই আনন্দ উৎসবে আমি ভীষণ খুশি।’
তিনি আরও জানান যে বিয়ের আয়োজন বেশ মনোহরা ছিল। ফুল দিয়ে বেষ্টিত ছিল গোটা মন্ডপ। নিজের বনানীর বাড়িতেই বিয়ের আসর বসেছিল রাজ পরীর। আর তাঁরা দুজনে বেশ একই রকম তাল মিলিয়ে সুন্দর করে সেজেছিলেন সেটা দেখা গেল পরীর ফেসবুকের পোস্ট দেখে। সোনালী রঙের ওড়না, খয়েরী ভারী কাজের বেনারসী ও লাল কাঁচের চুড়িতে বেশ লাগছিল রাজের পরীকে। রাজও বন্ধগলা ভারী কাজের পাঞ্জাবী ও সোনালী পাগড়ি মাথায় দিয়ে আসর আলোকিত করেছিলেন।
এত কিছুর পরে মাথায় আসে সব তো হলো এবার মেনুর খবর কি! মেনুতে ছিল এলাহি রাজকিয়তা। কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন রোস্ট, মাংস ভুনা, কোফতা, মিষ্টি, পুডিং— আরও কত্ত কি। বেশ ভুঁড়ি ভোজন হয়েছিল অন্তঃসত্ত্বা পরীমনির বিয়েতে। এছাড়া গায়ে হলুদে দুটি কেকও কেটেছিলেন রাজপরী। একটির নাম দিয়েছিলেন হলুদ ছোঁয়া। অপর কেকটির নাম অবশ্য অনুরাগীদের দেওয়া ভালোবাসার নাম দিয়েই দেওয়া হয় ‘রাজপরী’।