ভারত ও বাংলাদেশ- উভয় দেশের মানুষজন মাছ খেতে ভীষণই পছন্দ করেন। তবে মাছের মধ্যে সবথেকে সুস্বাদু হল ইলিশ (Hilsa)। ইলিশ মাছের নামেই তো অনেকের জিভে জল এসে যায়। আর বিশেষ উৎসবের দিনে তো ইলিশ হলে কোনো কথাই নেই। এদিকে উৎসবের সময় আসন্ন। আর মাসখানেক পরেই আসছে দুর্গাপূজা। তাই কয়েকদিন আগে অবধি আশা করা হচ্ছিল যে পুজোর আনন্দের সঙ্গে ইলিশ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলে তো পুজো পুরো জমে যাবে।
আর এবার বাঙালির দুর্গাপূজার রসনাতৃপ্তির ক্ষেত্রে সুখবর এসেছে গত সপ্তাহেই। পুজোর আগেই রাজ্যে ঢুকেছে বিখ্যাত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ। গত বৃহস্পতিবার পেট্রোপল সীমান্ত দিয়ে ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ প্রবেশ করেছে রাজ্যে। সাধারণত স্বাদ ও গন্ধের জন্য পদ্মার ইলিশ হল পৃথিবী বিখ্যাত। আর পুজোর আগেই এই সুস্বাদু রুপোলি ফসলের আগমনে কার্যত খুশির জোয়ারে ভাসছেন ইলিশ প্রেমীরা।
জানা গেছে, আমদানিকৃত মাছের মধ্যে ৭০০ গ্রাম থেকে ১.৫ কেজি ওজনের মাছই বেশি রয়েছে। তাই প্রতিটি মাছই যে স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই কারোই। এদিকে ইতিমধ্যে হাওড়া ও কলকাতার বাজারে বিকোচ্ছে দেদার। মানিকতলা বাজার থেকে ছোট বড় সব বাজারেই বিক্রি হচ্ছে সেইসব মাছ। প্রথম দিনেই ওপার বাংলার ইলিশের দাম রয়েছে ১৬০০-২২০০ টাকা কেজিপ্রতি। আর সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সেই দামে ঘাটতি ঘটেনি মোটেও। এখনো রুপোলি ফসল বিকোচ্ছে চড়া দামেই।
আজকেও কলকাতার বাজারে এক কেজি সাইজের পদ্মার ইলিশ অগ্নিমূল্য। জানা গেছে, হাওড়া ও কলকাতার বাজারে প্রমান সাইজের ইলিশের গড় দাম রয়েছে কেজিপ্রতি ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা অবধি। এবার মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের কাছে এই দাম অনেকটাই। তাই ইলিশের রসনাতৃপ্তির ক্ষেত্রে ব্রাত্য রয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু এই মূল্যবৃদ্ধি কমার কোনো ইঙ্গিত দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। কারণ বাজারে ইলিশের যোগান কম থাকার কারণেই ঘটছে এই বিপত্তি।