কিভাবে ভাতের ফ্যান ব্যবহার করলে ত্বকের সৌন্দর্য ফিরে আসবে
আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই প্রতিদিন ভাত হয়। কিন্তু ভাতের ফ্যান আমরা প্রতিদিনই ফেলে দিই। কিন্তু আপনি কি জানেন এই ভাতের ফ্যান আপনার ত্বকের জন্য কতটা উপকারী। শুধু ত্বকের জন্যই না যারা রোগা শরীরে জৌলুস নেই, তারা প্রতিদিন এক বাটি ভাতের ফ্যানের সঙ্গে সামান্য মাখন দিয়ে প্রতিদিন ভাত খেলে মোটা হবেন এবং শরীরের জৌলুস ফিরে আসবে। প্রতিদিন আপনার রূপচর্চার জন্য ভাতের ফ্যান ব্যবহার করুন।
১) দু’চামচ ভাতের ফ্যান, এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘন্টা পরে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ভাতের ফ্যান ত্বকের জন্য ভীষণ ভালো একটি উপাদান। ত্বককে ফর্সা করতে ভাতের ফ্যান এর জুড়ি মেলা ভার।
২) দু’চামচ ভাতের ফ্যান, এক চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক কত ঝকঝকে এবং মখমলে হয়ে যাবে।
৩) চার চামচ ভাতের ফ্যান, এক চামচ অ্যালোভেরা জেল, রাত্রিবেলা ভিজিয়ে রাখা রিঠার জলের সঙ্গে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। এটিকে ফ্রিজের মধ্যে রাখবেন। দুদিন ব্যবহার করতে পারবেন। সারা দিনে দু তিনবার এটি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি খুব ভালো ফেসওয়াশ এর কাজ করে।
৪) ভাতের ফ্যান শুধুমাত্র ত্বকের জন্য না চুলের জন্যও এটি বেশ উপকারী। চুলকে নরম ও সুন্দর করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ভাতের ফ্যান। একমগ ভাতের ফ্যান, তার মধ্যে একটি লেবু ভালো করে চিপে রস বার করে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে শ্যাম্পু করার পর এই ভেজা চুলে লাগিয়ে রাখুন। বেশ কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পরে আরেকবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। কন্ডিশনার হিসেবে এটি খুব ভালো কাজ করে।
৫) যারা ঘরোয়া উপায়ে চুলের রং করতে চান তারা ব্যবহার করতে পারেন ভাতের মাড়। বেশ কিছুটা ভাতের মাড়ের সঙ্গে খানিকটা কফি পাউডার মিশিয়ে দিয়ে চুলে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পরে চুল শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে দু’দিন এরকম করলে চুলের রং আস্তে আস্তে পাল্টাবে। এবার থেকে ভাতের ফ্যান আর ফেলে না দিয়ে রূপচর্চায় সঙ্গী করুন ভাতের ফ্যান।