কেন আত্মহত্যা করলেন পল্লবী? উত্তর অধরা। অনেকের অনুমান ব্যাক্তিগত অশান্তির কারণেই এমন পথ বেছে নেন তিনি। পুলিশি তদন্তে সাগ্নিক জানিয়েছেন যে তার সঙ্গে পল্লবীর কথা কাটাকাটি হয়, এবং সাগ্নিক ধূমপান করতে বাইরে চলে যান, এরপর বাড়ি এসে দেখেন দরজা লক। ডাকাডাকির পরেও দরজা খোলেন না পল্লবী। সন্দেহ হলে কি লকের ছিদ্রে চোখ রাখেন সাগ্নিক, এবং দেখেন পল্লবী গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে।
মাত্র একটা ঝামেলার জন্যে মৃত্যুর পথ বেছে নিলেন পল্লবী? বয়স মাত্র ২৫. একাধিক ধারাবাহিক লিড রোলে অভিনয় করেছেন। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে লিভ ইন করতেন, এরপরেও কিসের অভাব থাকতে পারে যার জন্য আত্মহনন এর পথ বেছে নিতে হয়? ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী গলায় ফাঁস লাগার কারণে মারা গিয়েছেন পল্লবী, এছাড়া শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। যদিও পল্লবীর বন্ধু তথা সহ অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী এই ব্যাপারে বলেন, ‘পল্লবীর সঙ্গে ওর বয়ফ্রেন্ডের সমস্যা ছিল। কী প্রবলেম ছিল জানি না। শুধু জানি ও খুব ভালো মেয়ে এটা করতে পারে না। ওদের দুজনের মধ্যেই সমস্যা ছিল। দুদিন আগে আমরা একসঙ্গে খেতে গিয়েছিলাম, সেদিন সমস্যার কথা বলছিল,ও কাঁদছিল। আমি বলেছিলাম তোরা একসঙ্গে না থাকতে পারলে ব্রেকআপ করে নে। ওর এই মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’
ব্যাক্তিগত সমস্যা ছাড়াও আরো একটি দিক উঠে এসেছে। পল্লবী সম্প্রতি মন মানে না ধারাবাহিকে লিড চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। কিন্তু, তিনি জানতেন কয়েকদিনের মধ্যে ধারাবাহিক শেষ হতে চলেছে। তাই সাত পাঁচ না ভেবে ধারাবাহিকের প্রাক্তন পরিচালককে ফোন করে কাজ চান।
পরিচালক প্রেমেন্দু বিকাশ চাকি (Premendra Bikash Chaki) ছিলেন মন মানে না ধারাবাহিকের প্রাক্তন পরিচালক। সেই প্রেমেন্দুর কথায়, “গত ১৩ মে পল্লবী আমার সঙ্গে কথা বলেছিল। ‘মন মানে না’ ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাচ্ছে, সে কথা ও আমাকে জানিয়েছিল। নতুন কোনও কাজ থাকলে যেন ওকে বলি, এই ধরনের কথাও হয়েছে। কিন্তু, একেবারেই আন্দাজ করতে পারিনি যে ও এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ করতে পারে।”