মোটা টাকা দর হাঁকাতেই চরম আপত্তি, নিজের বাবার কাছেই ‘ডাকাত’ তকমা পেয়েছিলেন স্বস্তিকা!

টলিউডে ইন্ডাস্ট্রির প্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিনয় দক্ষতা প্রশ্নাতীত। তাঁর জীবনের সঙ্গে বিতর্কের যোগও সর্বক্ষণের। তবে তাঁর স্পষ্টবাদী ব্যক্তিত্ব যে অনেকেরই খুব প্রিয় সেটাও বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর প্রতিবাদী সত্ত্বা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে চর্চায় উঠে এসেছে। সম্প্রতি আবারো একটি কারণে চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন স্বস্তিকা। বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর বলা কিছু কথা আবারো ভাইরাল হয়েছে।

এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, তাঁর পারিশ্রমিকের অঙ্ক নিয়ে ঘোরতর আপত্তি ছিল তাঁর বাবা অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের। সাক্ষাৎকারে স্মৃতিচারণ করে স্বস্তিকা বলেছিলেন, একদিন তিনি ফোনে কথা বলতে বলতে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখেন, তাঁর বাবাও তাঁর পিছু পিছু হাঁটছেন। বিরক্ত হয়ে স্বস্তিকা তাঁর বাবাকে বলেছিলেন, হাঁটা বন্ধ করে ঘরে গিয়ে বসতে। তিনি ফোন রাখার পরেই সন্তু মুখোপাধ্যায় বলে উঠেছিলেন, ‘কী করে এত টাকা চাইলি? তুই কি ডাকাত?’

তখন স্বস্তিকা তাঁর বাবাকে বুঝিয়ে বলেছিলেন যে এটাই এখনকার নিয়ম। তাঁকে দেখতে এই পরিমাণ টাকাই মানুষ দেবে। এটাই তাঁর পারিশ্রমিক। কিন্তু সম্পূর্ণ আশ্বস্ত হননি সন্তু মুখোপাধ্যায়। তিনি ফের বলেছিলেন, ডাকাতি করছেন স্বস্তিকা। তিনি কে এমন যে তাঁর মুখ দেখার জন্য এক ঘন্টায় এত টাকা দেবে মানুষ? তবুও ধৈর্য ধরে বুঝিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

স্বস্তিকার কথায়, ‘এতটাই মধ্যবিত্ত ভাবে বড় হয়েছি যে লোক দেখানো ব্যাপারটাই খুব অগভীর লাগে।’ প্রসঙ্গত, বছর কয়েক আগেই বাবাকে হারিয়েছেন স্বস্তিকা। মা চলে গিয়েছেন তারও আগে। তবুও এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই মা বাবার স্মৃতি উসকে নানান মন্তব্য করেন স্বস্তিকা। এর আগে একবার সন্তু মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন স্বস্তিকা, লিখেছিলেন, ‘বাবা শুভ জন্মদিন। যেখানেই থাকো পরের জন্মে আমার বাবা হয়েই এসো কিন্তু। তোমার কথা রোজ মনে পড়ে, অবশ্য পড়ার কিছু নেই তুমি আমার মনেই থাকো সর্বক্ষণ। তোমার ফেলে যাওয়া আসবাবপত্তর, তোমার চশমা, বইপত্তর, জামাকাপড় সব যেমন ছিল তেমনি আছে। গুছিয়ে রেখেছি। খালি মনে হয় কখনো যদি ফিরে আসো আর কিছু খুঁজে না পাও, যদি ভাবো তোমায় ভুলে গিয়েছি, তোমার কোনো চিহ্ন নেই আর, ওই ভয়ে সব যত্ন করে আগলে রাখি’।