Income Tax: পুরানো কর ব্যবস্থায় কি বেশি সুবিধা পাওয়া যায়! ৯০% করদাতা জানেন না সঠিক তথ্য
প্রতিটি উপার্জনকারী ভারতীয় নাগরিকের জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করা বাধ্যতামূলক। আয়কর রিটার্ন হল একটি নির্ধারিত ফর্ম যার মাধ্যমে একটি আর্থিক বছরে এক জন ব্যক্তি তাঁর অর্জিত আয়ের বিবরণ জমা দিতে পারেন। এই ধরনের আয়ের উপর প্রদত্ত করের তথ্য আয়কর বিভাগে জানানো হয়। পরবর্তীকালে এটি আয়কর বিভাগ থেকে ‘লস ক্যারি-ফরওয়ার্ড’ এবং ‘রিফান্ড ক্লেম’ করার অনুমতি দেয়। আয়কর আইনের অধীনে, বিভিন্ন শ্রেণির করদাতাদের জন্য রিটার্নের বিভিন্ন ফর্ম নির্ধারিত হয়। রিটার্ন ফর্মগুলি আইটিআর ফর্ম নামে পরিচিত।
ইতিমধ্যে ইতিমধ্যে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন ফাইল করার প্রক্রিয়া প্রায় শেষের মুখে। নতুন অথবা পুরনো যেকোনো ট্যাক্স ব্যবস্থা অনুযায়ী আপনি আয় কর জমা করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে স্ল্যাব আপনার জন্য আলাদা আলাদা হবে। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। আপনি যদি নতুন কর ব্যবস্থার সুবিধা নিচ্ছেন, তবে এখন আপনি কেবল আরও ছাড়ের সুবিধা পাবেন না, এর সাথে আপনি কর প্রদান থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থায়, ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কে করমুক্ত করা হয়েছে, অর্থাৎ, আপনি যদি বছরে ৭ লক্ষ টাকা আয় করেন তবে আপনাকে কোনও কর দিতে হবে না। এর সাথে পেতে পারেন স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন সুবিধা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ২০২৩ সালের বাজেটে এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন।
কিন্তু ২০২৩ সালের বাজেট পেশ করার সময়, নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন যে এখন থেকে এমনকি নতুন কর ব্যবস্থায়, বেতনভোগী এবং পেনশনভোগীরা ৫০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা পাবেন। ৭ লক্ষ পর্যন্ত আয় করমুক্ত হবে এর সাথে। অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে, আপনার বার্ষিক আয় ৭ লক্ষ টাকা এবং আপনি নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নেন, তাহলে আপনাকে কোনও কর দিতে হবে না। কারণ নতুন কর ব্যবস্থায়, ধারা 87A এর অধীনে কর ছাড়।
এছাড়াও আপনি ১০ লক্ষ টাকা আয় করলেও আপনাকে আয়কর দিতে হবেনা যদি আপনি কয়েকটি নিয়ম মেনে চলেন। পুরানো ট্যাক্স পদ্ধতিতে ধারা 80C-এর অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকা ছাড় পাওয়া যাবে। এছাড়াও পরিবারের মেডিক্লেম প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। বয়স্কদের জন্য এই ছাড়ের পরিমান হয় ৫০ হাজার টাকা। এই সবগুলো শর্ত মানা হলে মোট করযোগ্য আয় ৫ লক্ষ টাকার কম হয়ে যাবে। আর এক্ষেত্রে আপনাকে কোনো আয়কর দিতে হবেনা।