প্রাচীনকাল ভারত হল একটি কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষিকাজের উপরেই আমাদের দেশের সিংহভাগ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তবে বর্তমান সময়ে কৃষিকাজ যেন দুঃসাধ্য একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারাবছর চাষাবাদ করেও লাভবান হচ্ছেন না কৃষকরা। তাই দেশের কৃষকদের জন্য কেন্দ্র ‘পিএম কিষান সম্মান নিধি’ যোজনা চালু করেছে। এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত কৃষকদের বছরে ৬ হাজার টাকা দেয় মোদি সরকার।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার হিসেবে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে বিজেপি। আর সেই বছরেই দেশের কৃষকদের সাহায্যার্থে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঘটানো হলয় দেশে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রতিটি কৃষককে বার্ষিক ছয় হাজার টাকা দেয় কেন্দ্র। এই টাকা বছরের তিনটি সময় তিনটি সমান ধাপে দেওয়া হয় কৃষকদের। অর্থাৎ চতুর্মাসিক হারে ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। জানা গেছে, ইতিমধ্যে দেশের ১২০ মিলিয়ন কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।
আর এই প্রকল্প অর্থাৎ ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা’র অধীনে, পরবর্তী ১৪ তম কিস্তি শীঘ্রই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে আসতে চলেছে। এই কিস্তিতেও আগের মতোই ২,০০০ টাকা দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বলাই যায় যে এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষকদের কিস্তির অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে শীঘ্রই। উল্লেখ্য, কেন্দ্র সরকার এখনো পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার অধীনে অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকার ১৩ টি কিস্তি জমা করেছে। আর এখন মনে করা হচ্ছে যে আগামী ১৫ ই জুলাইয়ের মধ্যে ১৪ তম কিস্তিটিও দিয়ে দেওয়া হবে।
এই যোজনার লাভ ওঠাতে কেন্দ্র সরকার বর্তমানে এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত কৃষকদের ই-কেওয়াইসি করা আবশ্যক করেছে। আপনি যদি এই কাজটি না করেন তবে আপনাকে সমস্যায় পড়তে হবে। উল্লেখ্য ১৩ তম কিস্তির টাকাও সেইসব কৃষকরা পাননি ই-কেওয়াইসি করেননি। এটি অনলাইনে করে ফেলা যায়। তাই বাড়িতে বসেও এই কাজটি করা যাবে, অথবা আপনি তথ্যমিত্র কেন্দ্রে গিয়েও কাজটি করতে পারবেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজনীয় নথিগুলি হল আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্কের পাশবইয়ের প্রতিলিপি। এছাড়াও আপনার জমির কাগজপত্র আপনাকে এর সঙ্গে দিতে হবে।
