একি কাণ্ড! মিঠাইয়ের শরীরে গুলি লেগেছে, এদিকে সিদ্ধার্থ হাউমাউ করে কাঁদছে। এমন দৃশ্য দর্শকরা বেশ চুটিয়ে উপভোগ করছে তা প্রমাণিত, আর সেই জন্যেই টানা সপ্তাহ ধরে মিঠাই টিআরপি’র দিক থেকে এক নম্বরে।
মিঠাই ধারাবাহিকে নতুন সদস্য তোর্সার আগমনের পর গল্পের মোড় অন্যদিকে ঘুরেছে। দুষ্টু মিষ্টি অশান্তি লেগেই রয়েছে মোদক পরিবারে। এরই মধ্যে মিঠাই একদিন তোর্সার দিকে সাঁড়াশি নিয়ে ছুটে যায়, এরপরেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে মোদক পরিবারে। বাড়ির কর্ত্রী শাস্তি দেয় দুই নাত বউকে। তোর্সার কাধে দ্বায়িত্ব আসে পুজো দেওয়ার অন্যদিকে মিঠাই রানীকে টানা একদিন মৌন ব্রত পালন করতে হবে। গল্প এভাবেই চলছে, কিন্তু মাঝে নিপা এসে গল্পের মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়।
রুদ্রকে পাওয়ার জন্য নিপা মাঝে মধ্যেই অদ্ভুত কান্ডকারখানা করে ফেলে। সে স্বপ্ন দেখে আইপিএস অফিসার হওয়ার। এরইমধ্যে একটি অপারেশনে যায় রুদ্র ও ধারা। একটা রেস্টুরেন্টে তারা এক ক্রিমিনালকে পাকড়াও করবে। সমস্ত টিম নিয়ে রেডি। এদিকে নিপা রুদ্রের গন্ধে গন্ধে সেই রেস্টুরেন্টে হাজির হয়। এবং নিজের দক্ষতা প্রমাণের জন্য ভুল লোকের মাথায় খেলনা পিস্তল ঠেকিয়ে পুরো প্ল্যান ভেস্তে দেয়। এদিকে, নিপাকে খুঁজতে খুঁজতে হোটেলে উপস্থিত হয়েছে মিঠাই ও সিদ্ধার্থ।
আসল অপরাধীকে ধরার আগেই নিপা একটা বড় ভুল করে বসে, ফলে আসল ক্রিমিনাল ধরে নেয় নিপাকে। সেই সময় মিঠাই কিছুই না ভেবে নিপাকে বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়ে । রেস্টুরেন্টের মধ্যেই চলে গুলির লড়াই, সেইসময়, নিপাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলি লাগে মিঠাইয়ের। ব্যাস, মিঠাইকে গুলি খাওয়া অবস্থায় দেখে শোকে পাথর হয়ে যায় সিদ্ধার্থ। এখন ব্যাপার হল, আদৌ কি মিঠাই রানির গায়ে গুলি লেগেছে নাকি লাগেনি। যদি লেগে থাকে তবে গল্পের মোড় আরো অন্যদিকে ঘুরবে।
