Hoop Tech

Old Smartphone: অকেজো স্মার্টফোন দিয়েই মুশকিল-আসান! এই ৫ কাজে ব্যবহার করুন পুরানো মোবাইল

একবিংশ শতাব্দী দিন দিন ডিজিটাল যুগে হয়ে উঠছে। আর এই ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন আজকাল সকলের হাতেই। আট থেকে আশি, এই একটি গ্যাজেট ছাড়া যেন সবাই অচল। সে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকাই হোক বা ক্যামেরা দিয়ে ছবি-ভিডিও তোলা কিংবা গান শোনা অথবা সিনেমা দেখা- স্মার্টফোন আমাদের কমবেশি সব কাজেই অত্যন্ত দরকারি একটি জিনিস।

তবে এই স্মার্টফোন দিন দিন আপগ্রেড হয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে। ক্যামেরা থেকে প্রসেসর, স্টোরেজ এমনকি ডিজাইনেও বদল ঘটছে প্রতিদিন। তাই ওয়ার্কিং কন্ডিশনে থাকলেও অনেক পুরনো স্মার্টফোন আর ব্যবহারের যোগ্য থাকেনা। তাই প্রায় সব বাড়িতেই পুরানো স্মার্টফোন পড়ে থাকতে দেখা যায় আজকাল। তবে এই প্রতিবেদনে পুরানো স্মার্টফোনের এমন কয়েকটি ব্যবহার বলবো, যা আপনার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে সহজেই।

● রিমোট হিসেবে ব্যবহার: আজকাল আমাদের চারপাশে একাধিক স্মার্ট ডিভাইস থাকে, যেগুলি রিমোটের সাহায্যে চালনা করতে হয়। এর জন্য একাধিক রিমোটে গুলিয়ে ফেলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে পুরানো স্মার্টফোন দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে। ওই স্মার্টফোনে আয়ার ব্লাস্টার থাকলে তার মাধ্যমে সব স্মার্ট ডিভাইস চালনা করা যাবে।

● বাচ্চাদের ছবি তোলার জিনিস: বাড়তে বাচ্চা থাকলে, আর সেই বাচ্চার ছবি তোলার আগ্রহ থাকলে পুরানো স্মার্টফোন তার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে। কোনরূপ কানেকটিভিটি ছাড়া একটি শক্ত কাভার লাগিয়ে এটি তাকে দিয়ে দিন। এর ফলে স্মার্টফোনও চালু থাকবে।

● মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম: পুরানো প্রায় স্মার্টফোনেই মাল্টিমিডিয়া ফিচার্স থাকে। আর এক্ষেত্রে বড় ডিসপ্লে থাকলে সেটিকে সিনেমা দেখার বা স্পিকারের সঙ্গে কানেক্ট করে গান শোনার ডিভাইস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনটা করলে আর আলাদা করে মিউজিক সিস্টেম কিনতে হবেনা।

● বই পড়া: পীড়ানো স্মার্টফোনকে বই পড়ার কাজেও ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্লেস্টোর থেকে কিন্ডেল এপ্লিকেশন ডাউনলোড করে সেখান থেকে ই-বুক ডাইনলোড করে পড়তে পারেন। বলা বাহুল্য, পুরানো মোবাইলে সিম না লাগিয়ে নির্ঝঞ্ঝাটভাবে বই পড়া যাবে।

● গবেষণার কাজে: আজকাল অনেক গবেষক পুরানো স্মার্টফোনের বিভিন্ন ফিচার্স নিয়ে অনলাইন গবেষণা করেন। তাই বিওআইএনসি বা এই ধরণের এপ্লিকেশনের মাধ্যমে আপনার মোবাইলকে একটি সংস্থার সকনগে কানেক্ট করে দিন। এমনটা করলে আপনিও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির উন্নতিসাধনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

Related Articles