ভারতী সিং (Bharti singh) , এশিয়ার জনপ্রিয়তম মহিলা কমেডিয়ানদের মধ্যে অন্যতম। ভারতী বদলে দিয়েছেন কমেডির সংজ্ঞা। পুরুষ কমেডিয়ানদের একচেটিয়া রাজত্বে আঘাত হেনেছেন ভারতী। তাঁর কমেডি সেন্সের পাশে তাবড় তাবড় কমেডিয়ানরা ফিকে হয়ে যান। কিন্তু যে ভারতী সবাইকে হাসান, তাঁর ভিতরে বয়ে চলে অশ্রুধারা।
গানের কথাতেই রয়েছে “তুম ইতনা কিঁউ মুসকুরা রহে হো , কেয়া গম হ্যায় জিসকো ছুপা রহে হো”, ভারতীর জন্যই যেন তৈরি হয়েছিল এই গান। অল্প বয়সে পিতৃহারা হওয়ার শূন্যতা আজও ঘিরে ধরে ভারতীকে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বাবার অকালপ্রয়াণের কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেছিলেন ভারতী।
মাত্র দুই বছর বয়সে পিতৃহারা হয়েছিলেন ভারতী। সেই কারণে বাবাকে ঘিরে কোনো স্মৃতি তাঁর নেই। বাবার ভালোবাসা বোঝার সুযোগ হয়নি ভারতীর। ভারতীর মা একাই সংসার সামলেছিলেন। বাবার কোনো ছবি ছিল না ভারতীদের বাড়ি। তবে ভারতীর দিদি ও দাদা বাবার সান্নিধ্য পেয়েছিলেন।
একজন নারীকে একজন পুরুষ কখনও বন্ধু, কখনও বাবা, কখনও স্বামী হিসাবেও যে যত্ন নিতে পারে, তা হর্ষ (harsh limbachiya)—কে বিয়ে না করলে জানতেই পারতেন না ভারতী। ভারতী জানিয়েছেন, শৈশব থেকেই দিদি ও দাদার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল না। তাঁর মা ছাড়া কারওর যত্ন পাননি তিনি। কিন্তু কর্মসূত্রে ভারতীর সঙ্গে হর্ষের আলাপ হয়। একসময় বন্ধুত্ব পরিণত হয়েছিল প্রেমে। 2017 সালে হর্ষ ও ভারতীর বিয়ে হয়। এরপর থেকেই ভারতী অনুভব করেন, হর্ষ একাধারে তাঁর স্বামী ও বন্ধু। ভারতীকে যত্ন করেন হর্ষ। ভারতী ও তাঁর মায়ের প্রয়োজনের সমস্ত খুঁটিনাটির দিকে হর্ষ নজর রাখেন। হর্ষ তাঁর জীবনের শূণ্যতা অনেকটাই পূর্ণ করেছেন বলে জানিয়েছেন ভারতী। এমনকি ধীরে ধীরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছেন তাঁরা।
View this post on Instagram