বিনোদন জগতে প্রায়ই দেখা যায় সম্পর্কের ভাঙাগড়া। একটি সম্পর্ক ভাঙলে আরেকটি সম্পর্কে জড়ান বহু অভিনেতা অভিনেত্রীই। অতীত ভুলে নতুন করে জীবন বাঁচতে শুরু করেন অনেকেই। কিন্তু অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের (Bhaswar Chatterjee) ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্য রকম। জীবনে দু দুবার ছাদনাতলায় গিয়েছেন অভিনেতা। দুবারেরই অভিজ্ঞতা তিক্ত। শুধু যে নিজের অমতে ডিভোর্স দিতে হয়েছে তাঁকে তাই নয়, কপালে জুটেছে ভুয়ো ৪৯৮ এ কেসও। দুবারের আঘাত এখনো ভুলতে পারেননি ভাস্বর। জীবনে তাই আর তৃতীয় বিয়ের কথা ভাবেন না তিনি।
সুদর্শন ভাস্বর সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমারের বড় নাতনি নবমিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ২০১৩ সালে প্রেম শুরু করার পর ২০১৪ তে বিয়ে করেন তাঁরা। কিন্তু বিয়েটা টেকেনি। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ভাস্বর বলেন, যে কারণেই বিয়েটা ভাঙুক না কেন, তিনি চেয়েছিলেন সেটা টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু পারেননি। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে শুধুমাত্র নবমিতার ইচ্ছেকে সম্মান জানাতে ডিভোর্সে রাজি হয়েছিলেন অভিনেতা। এই একটি কারণে আজো তিনি ক্ষমা করতে পারেননি দ্বিতীয় স্ত্রীকে।
তবে ভাস্বর বলেন, মানসিক যন্ত্রণা এবং নিজের ইচ্ছেটা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো কষ্ট তাঁকে নবমিতা দেননি। কিন্তু তাঁর প্রথম স্ত্রী তাঁর সঙ্গে যা করেছিলেন তা শেষ জীবন পর্যন্ত মনে রাখবেন বলে মন্তব্য করেন ভাস্বর। তিনি যখন প্রথম বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তখন একটি ফার্মেসিতে চাকরি করতেন। মায়ের কথা মতোই রাজি হয়েছিলেন বিয়ে করতে।
সম্বন্ধ করে হয়েছিল সেই বিয়ে। কিন্তু সংসার জীবনে পা রাখতেই ভাস্বর বোঝেন তিনি বড় ভুল করে ফেলেছেন। অভিনেতা জানান, ঠকিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। অন্য একটি সম্পর্কে ছিলেন সেই মেয়ে। বাড়ির অমতে বিয়ে করতে বাধ্য হওয়ায় ভাস্বরকে ছোট করতে তাঁর বিরুদ্ধে ৪৯৮ এ চাপিয়ে দেন তিনি। অভিনেতা বলেন, সেই সময়ে সামাজিক, মানসিক দুই দিক দিয়ে যে দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি তা কোনোদিন ভুলতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন ভাস্বর।
View this post on Instagram