গল্পের শুরু ছিল জি বাংলার হাত ধরে ২০০৫ এ। ধারাবাহিক ‘একদিন প্রতিদিন’ Ekdin Protidin এর সঙ্গে ছোট পর্দায় প্রবেশ করেন হ্যান্ডসাম অভিনেতা ঋষি কৌশিক। ২০০২ সালে কলকাতা আসেন অসমের তেজপুর থেকে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে। ৩ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর মন যখন ভেঙ্গে যায় ঠিক তখনই ‘একদিন প্রতিদিন’ এর ডাক আসে। ব্যাস জার্নি স্টার্ট।
২০০৮ এ দর্শকরা পায় ডক্টর উজানকে। বাঙালী হৃদয়ের ক্রাশ হতে শুরু করল ঋষি কৌশিক। হ্যাঁ, ২০০৮ এই শুরু হল ‘এখানে আকাশ নীল’ Ekhane Aakash Neel ধারাবাহিক। উজান-হিয়ার লাভ-স্টোরি দর্শকদের আজও মনে আছে। গুরু গম্ভীর ডাক্তারের মন জয় করা কি সহজ কথা? বাস্তবে ঋষি কিন্তু বেশ হাসি-খুশি। বাইক নিয়ে ঘুরতে ভীষণ পছন্দ করেন। এমনকি শ্যুটিং এ যান পর্যন্ত বাইক ড্রাইভ করে।
এরপর ‘মুখোশ মানুষ’ Mukhosh Manush দিয়ে চলতে চলতে জমিয়ে আসর বসিয়ে ফেলেন ‘ইষ্টিকুটুম’ Ishti Kutum ধারাবাহিকের হাত ধরে। ‘ইষ্টি কুটুম’ গল্পের নায়ক অর্চি আর বাহার প্রেম যখন অনস্ক্রিন জমে উঠেছে তখন অফস্ক্রিনে জীবনসঙ্গী হিসেবে আপন করে নেন দেবযানী চক্রবর্তীকে।
ঋষি কৌশিক ও দেবযানী চক্রবর্তীর প্রেম অনস্ক্রিনে জোরদার না হলেও অফস্ক্রিন প্রেম বেশ রোম্যান্টিক। দুইজনেই ভ্রমণবিলাসী। বাইক নিয়ে যখন তখন বেড়িয়ে যান এই সেলেব দম্পতি। পাহাড় হোক বা সমুদ্র অথবা বিদেশের মাটি, বউকে সঙ্গে করে ঋষি মেতে ওঠেন রোম্যানটিসিজিমে।
একসময় ঋষি কৌশিক আর অপরাজিতা ঘোষ দাসের প্রেম নিয়ে বেশ গুঞ্জন উঠেছিলো। কিছু মানুষ এমনটাও বলেছেন যে ঋষি ও অপরাজিতার সন্তান পর্যন্ত আছে। এই ব্যপারে ঋষি এক সংবাদমাধ্যমে বেশ জমিয়ে এর উত্তর দিয়েছিলেন। উত্তরটা ছিল “খেলাম না, দেলাম না, গ্লাস ভাঙলাম আমি!” ইঞ্জিনিয়ার বউ দেবযানী অবশ্য স্বামীর প্রেমে হাবুডুবু খান প্রথম থেকেই, তাই এসব গসিপে মন দেননি, এমনকি কোন আঁচ আসতে দেননি তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্কে।
একদিকে রাইডিং যেমন ঋষির প্যাশন তেমনি ঘুম কাতুরে, কিন্তু বউকে সময় দেওয়ার জন্য সবসময় ব্যস্ত থাকেন ঋষি। তাইতো বিদেশের মাটিতে থেকে জন্মদিন সেলিব্রেট করলেও ভিডিও কলে বউকে সামনে রাখতে ভোলেননি ঋষি।
দেবযানী ও ঋষি দু’জনেরই কঠিন নিয়মে বাঁধা জীবন। তাই সময় পেলেই ট্যুরে চলে যান এই দুই জুটি। দেশ হোক বা বিদেশ বউকে ছাড়া কোন ট্রিপ করেন না বাংলা টেলি জগতের অন্যতম হ্যান্ডসাম অভিনেতা ঋষি কৌশিক।