Dadagiri: কথা দিয়েও কথার খেলাপ, ‘দাদাগিরি’-র মুখোশ খুলে গুরুতর অভিযোগ বিজয়ী প্রতিযোগীর!
মইনুদ্দিনকে মনে আছে? ‘দাদাগিরি’র (Dadagiri) নবম সিজনের গ্র্যান্ড ফিনালেতে নিজের অসাধারণ সাধারণ জ্ঞান এর দৌলতে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন দৃষ্টি শক্তিহীন এই প্রতিযোগী। বীরভূমের প্রতিযোগী গোটা সিজন জুড়েই দুর্দান্ত খেলেছিলেন! তাঁর সাধারণ জ্ঞানের ভাণ্ডার চমকে দিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সহ দর্শকদের। এবার সেই মইনুদ্দিনই সরব হলেন দাদাগিরির বিরুদ্ধে। জি বাংলার এই জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
ঠিক কী হয়েছে? প্রতিটি জেলার বিজেতাদের মধ্যে সবথেকে বেশি নম্বর প্রাপ্তদের নিয়ে গ্র্যান্ড ফিনালে পর্ব আয়োজন করা হয়। এমনটাই হয়ে এসেছে দাদাগিরির আগের সিজন গুলিতে। নবম সিজনে মইনুদ্দিনের হাত ধরে বিজয়ী হয়েছিল বীরভূম। আর মইনুদ্দিন পেয়েছিলেন এক দারুণ উপহার। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সকলের সামনে ঘোষণা করেছিলেন সেই প্রাইজ।
দাদাগিরির এক স্পনসর সংস্থা, টিএমটি বার প্রস্তুতকারী ওই সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের যে কোনো জেলাতে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট পাবেন মইনুদ্দিন। নিম্নবিত্ত পরিবারের মইনুদ্দিনের কাছে স্বাভাবিক ভাবেই এটা ছিল একটা বড় পাওয়া। কিন্তু অপেক্ষাই হয় সার। এত দিন কেটে যাওয়ার পরেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো ফ্ল্যাট তিনি পাননি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে দাদাগিরির বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক অভিযোগ করেন মইনুদ্দিন। তাঁর ভিডিওটি শেয়ার করেছেন বাংলা পক্ষের গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনিই ভিডিওটি রেকর্ডও করে দিয়েছেন মইনুদ্দিনকে। সেদিন গ্র্যান্ড ফিনালের অন্যতম প্রতিযোগী গর্গ এদিন লেখেন, ‘এ কেমন দাদাগিরি? এখনও প্রাইজ হিসেবে ১৫ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট দাদাগিরি সিজন ৯ গ্র্যান্ড ফাইনাল জয়ী মইনুদ্দিনকে দেয়নি ক্যাপ্টেন টিএমটি রাস্টগার্ড। তাহলে কোটি কোটি বাঙালির সামনে ওই প্রাইজ ঘোষণার মানে কী?’ বিষয়টি নিয়ে তারপর থেকেই শুরু হয়েছে শোরগোল। স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্কের মুখে পড়েছে জি বাংলার দাদাগিরি। কিন্তু তাও এখনো মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন জি বাংলা এবং দাদাগিরি কর্তৃপক্ষ তথা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।