CESC: মাত্রাছাড়া বিদ্যুৎ বিলে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস, নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ
ক্যালেন্ডার বলছে, জুলাই মাস পড়তে চলেছে। বাংলায় আষাঢ়ের মাঝামাঝি। তবুও বর্ষার নাম গন্ধ নেই। উত্তরবঙ্গ বৃষ্টিতে ভাসলেও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় দেখা নেই বৃষ্টির। বেড়ে চলেছে অস্বস্তিকর গরম। অন্যান্য বছরে এ সময়ে বর্ষার মরশুম শুরু হয়ে গেলেও এ বছরে বৃষ্টির কোনো দেখা নেই। ফলত গরমের জেরে ইলেকট্রিক বিলও (Electric Bill) বেড়ে চলেছে পাল্লা দিয়ে। এবার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
CESC এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ শুভেন্দুর
বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গ বিজেপির দফতরে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে বেশ কয়েকটি CESC বিল দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ভোটের সময়ে চুপিসারে বাড়িয়া দেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের বিল। রাজ্য সরকারের রেগুলেটরি বোর্ডের অনুমোদন নিয়েই এমনটা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভোটের সময়ে কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও কোথাও তিনগুণ ট্যারিফে সিলিং বদলে বিল বাড়ানো হয়েছে।
কড়া বার্তা বিরোধী নেতার
বর্ধিত বিল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, CESC এর মাত্রাতিরিক্ত বিলের জন্য অনেক মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের মধ্যে আর্থিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যারা ছোট ছোট দোকান চালিয়ে উপার্জন করেন তারা অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ছেন। অবিলম্বে বিদ্যুতের বাড়তি বিল না কমানো হলে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চালানোরও আভাস দিয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, তিনজন বিজেপি কাউন্সিলর, কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল CESC এর কাছে প্রথমে নিজেদের দাবি পেশ করবে। এর এক সপ্তাহ পরেও যদি প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না হয় তাহলে CESC অফিস অভিযান চালানো হবে বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।
পালটা বক্তব্য তৃণমূলের
পালটা মন্তব্যে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, CESC কে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কড়া বার্তা দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। CESC একটি বেসরকারি সংস্থা। যতটা সম্ভব বার্তা দেওয়ার তা রাজ্য সরকার দেয়। রাজ্য সরকারের তরফে যতটা সম্ভব ততটা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ।