Hoop Life

Bipadtarini Puja 2024: যেকোনো সংকট থেকে সহজে মেলে মুক্তি, মা বিপত্তারিণীর পুজোর সঠিক নিয়মাবলী জানেন!

আষাঢ় মাসের শুক্লাপক্ষের শনি ও মঙ্গলবারে পালিত হয়, দেবী বিপত্তারিণীর পুজো। প্রতি বছর রথযাত্রা ও উল্টোরথের মধ্যে যে মঙ্গল ও শনিবার পড়ে, সেই সময়ে বিপত্তারিণীর পুজো করা হয়। এ বছর বিপত্তারিণীর ব্রত পালন করা যাবে ৯ জুলাই (২৪শে আষাঢ়), মঙ্গলবার এবং ১৩ জুলাই (২৮শে আষাঢ়), শনিবার।

হিন্দুদের কাছে এই বিপত্তারিণী পুজো বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ। শক্তিরূপিনী দেবীরই এক রূপের প্রকাশ পায় তাঁর মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওডিশা ও অসমে এই পুজো পালন করা হয়। বিশেষ করে বাড়ির মহিলাদের মধ্য ভক্তি ও নিষ্ঠা সহকারে বিপত্তারিণী মায়ের পুজো প্রচলিত আছে।

বিপত্তারিণী পুজোর দিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার হয়ে নিয়ে কাঁচা কাপড় পড়তে হবে, তারপর পুরো বাড়িকে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে, কোণায় কোণায় গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিতে হবে।

বিপত্তারিণী পুজোর সঙ্গে ১৩ সংখ্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এদিন ১৩ গিঁট বিশিষ্ট লাল সুতো, যাকে বরাদ বা রাক্ষ সুতো বলা হয় তা স্বামী ও সন্তানের হাতে বেঁধে দেন।

এই সুতোয় ১৩টি দূর্বাও বাঁধা থাকে। বিপত্তারিণী দেবীকে ১৩ রকমের ফুল, ১৩ রকমের ফল ও ১৩ রকমের মিষ্টি অর্পণ করার নিয়ম রয়েছে। এর সঙ্গে পান, সুপুরি, নারকেল নিবেদন করা হয়ে থাকে।

পুজোর শেষে ১৩টি লুচি ও ১৩ রকমের ফল খাওয়ার চল রয়েছে। বিবাহে বিলম্ব হলেও এই পুজো করলে বাধা কেটে যেতে পারে।

মন্ত্র টি দেখে নিন –

মাসি পূণ্যতমেবিপ্রমাধবে মাধবপ্রিয়ে।ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চবাসরে মঙ্গল শুভে। সর্পঋক্ষে চ মধ্যাহ্নেজানকী জনকালয়ে। আবির্ভূতা স্বয়ং দেবীযোগেষু শোভনেষুচ। নমঃ সর্ব মঙ্গল্যেশিবে সর্বার্থসাধিকে শরণ্যে ত্রম্বক্যে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে।।

Disclaimer: বাস্তুবিদদের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল ভিন্ন হতে পারে।

Related Articles