ডায়েট মাথায় তুলে পেট পুরে ভুঁড়ি ভোজে তাঁর তো জুরিটাই মেলা ভার। হাতের রান্নাটাও অসাধারণ। সবাইকে খাইয়ে শান্তি অভিনেত্রীর। নাম অপরাজিতা আঢ্য। ২২ ফেব্রুয়ারি ৪৪ বছরে পা দিলেন। বয়স তো বাড়ছেই। কিন্তু তাঁর মন ভর্তি ফুলজুরি।পরিবারের সাথে জমিয়ে জন্মদিন সেলিব্রেশনটাও সেরে ফেলেছেন রাতারাতি। সে কি ভীষণ ধুম না দেখলে বোঝাই দায়।
কি কি উপহার পেলেন অপরাজিতা?
“সবচেয়ে বড় গিফ্ট তো আমার মা। বেশকিছুদিন ধরেই হাসপাতালে ছিলেন। বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চার-পাঁচ দিন আগেই হাসপাতালের বাইরে ফিরে পেয়েছি মাকে। জন্মদিনে ওঁর পাশে থাকাটাই তো আসল। আর কি বা চাওয়ার থাকে।” অপরাজিতা জানান এদিন সারাটাক্ষণ তিনি তাঁর মায়ের সাথেই ভাগ করে নিতে চান। সাথে রয়েছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির পরিবার। ননদ, স্বামী, বান্ধবীরা মিলে সুন্দর আয়োজন করেছিলেন তাঁর জন্মদিনের।
বেলুন ঘেরা ঘরখানা। মেরুন গাউনে মধ্যমণি অপরাজিতা। স্বামী অতনু হাজরা দিয়েছেন স্ত্রীর পছন্দমতো সোনা বাঁধানো বিশেষ উপহার। অপরাজিতার রুদ্রাক্ষ ভীষণ পছন্দের। তাই সেটাই দিয়েছেন অতনু। ওদিকে তাঁর শাশুড়ি মাও বৌমাকে দিয়েছেন নিজের ইচ্ছেমতো জিনিস কেনার জন্য দশ হাজার টাকা। এবার বান্ধবীদের তরফ থেকে ভিন্ন রকমের উপহার তো রয়েছেই। অভিনেত্রীর ভাষায়, “বাঁচতে শেখো হাসির সাথে, কান্না নিয়ে নয়। বয়স মানো বন্ধুর সংখ্যা দিয়ে, বছর দিয়ে নয়।”
অপরাজিতার জানালেন, জল এসে জমেছিল তাঁর চোখে। ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ সেটে ইপি প্রিয়াঙ্কা কেক মিষ্টি এনেছিলেন। এই প্রথম শুটিংয়ে কেক কাটলেন আপা দি। ভালোবাসা ও আদর মাখা কেকটা মন ভুলিয়ে দিয়েছে তাঁর। ওঁদের অ্যাসিস্টান্ট এডিটর একটি বাচ্চা মেয়ে। সেও তাঁর জন্য একটি ব্যাগ উপহার এনেছে। সাথে রয়েছে হাজারো গিফ্ট। অভিনেত্রীর ভাষায়, “ আমি তো আশীর্বাদ ধন্য যে অতো মিষ্টি একটা ইউনিটের সাথে কাজ করতে পারছি।”