প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra Jonas) কোনোদিনই প্রথাগত সুন্দরী ছিলেন না। একসময় আমেরিকায় পড়াশোনা করতে গিয়ে তাঁকে গায়ের রঙের জন্য শুনতে হয়েছিল ‘ব্রাউনি’। বর্তমানে সেই আমেরিকাকেই জয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা। বর্তমানে হলিউডে একের পর এক কাজ করার পাশাপাশি সেখানকার প্রোডিউসার’স গিল্ড-এর সদস্য তিনি। একই সাথে আমেরিকাতেই খুলেছেন তাঁর ফিউশন খাবারের রেস্তোরাঁ ‘সোনা’। খুলেছেন ‘সোনা’ ক্রকারি বিজনেসও। তবে প্রিয়াঙ্কা শুধুমাত্র অভিনেত্রী ও স্ত্রী নন, তিনি বর্তমানে একজন দায়িত্বশীল মা-ও। সারোগেসির মাধ্যমে কন্যাসন্তান মালতী মেরি চোপড়া জোনাস (Malti Merry Chopra Jonas)-এর মা হয়েছেন তিনি। জীবনে এতগুলি ভূমিকা একসাথে পালন করতে গিয়ে চাপের সম্মুখীন হন প্রিয়াঙ্কাও। তবে নিয়মমাফিক জীবনযাত্রার মাধ্যমে সব দিক বজায় রাখেন তিনি।
18 ই জুলাই, সোমবার, চল্লিশের কোঠায় পা রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা। ত্রিশ বছর বয়সের পর থেকে প্রিয়াঙ্কা তাঁর ডায়েটে কিছুটা রাশ টানলেও কড়া ডায়েট অনুসরণ করেন না তিনি। ‘সোনা’-তে মাঝে মাঝেই পরিবারের সদস্যদের সাথে যান প্রিয়াঙ্কা। সেখানে গিয়ে চেখে দেখেন নিত্যনতুন খাবার। তবে তাঁর নিয়মানুবর্তিতা প্রিয়াঙ্কার শরীরে মেদ জমতে দেয় না। প্রিয়াঙ্কা কোনোদিনই ‘মর্নিং পার্সন’ নন। তবে সকাল ন’টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়েন তিনি। শুটিং থাকলে আরও আগে ঘুম থেকে উঠতে হয় তাঁকে। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে এক কাপ আমেরিকানো কফি দিয়ে দিন শুরু হয় প্রিয়াঙ্কার।
এরপর কিছুক্ষণ ওয়ার্কআউট করেন প্রিয়াঙ্কা। ওয়ার্কআউটের পর একটি অমলেট, অ্যাভোকাডো টোস্ট ও ফলের রস থাকে তাঁর ব্রেকফাস্টে। কখনও কখনও ইডলি, প্লেন দোসা অথবা পোহাও খান প্রিয়াঙ্কা। লাঞ্চে বরাবর ভারতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন প্রিয়াঙ্কা। মাল্টিগ্রেইন আটার রুটি, পাঁচমিশালি সব্জি ও ডাল থাকে প্রিয়াঙ্কার পাতে। থাকে টক দই, স্যালাড ও আচার। ইদানিং মাছ-মাংস খেতে পছন্দ করেন না প্রিয়াঙ্কা।
সন্ধ্যার স্ন্যাকস হিসাবে মাখনা অথবা চাট খান প্রিয়াঙ্কা। ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চে ভারি খাবার খাওয়ার কারণে ডিনারে স্যুপ অথবা স্যালাড খেতে পছন্দ করেন প্রিয়াঙ্কা।
View this post on Instagram
