Beauty Tips: শুধু মুখ নয়, গোটা শরীর ফর্সা করুন দুধের সরের ৬ টি ফেসপ্যাকে
ফর্সা হতে কে না চায়? কিন্তু এই ঈশ্বর প্রদত্ত রংকে একেবারে পরিবর্তন করে ফেলা অসম্ভব। তবে যদি একটু চেষ্টা করা যায় তাহলে এই ঈশ্বর প্রদত্ত রংকেই সারা জীবন বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়। আমরা যখন জন্মগ্রহণ করি, তখন আমাদের ত্বক কত সুন্দর থাকে। তারপর আস্তে আস্তে কেমন ফ্যাকাসে এবং কালো হয়ে যায়। চেষ্টা করলে এই রংকে আমরা সারা জীবন বাঁচিয়ে রাখতে পারি। তবে এর জন্য অনেক অনেক টাকা খরচ করতে হবে না, রান্না ঘরে থাকা কয়েকটি সাধারণ উপাদান দিয়েই আপনি ঈশ্বর প্রদত্ত গায়ের রংকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন।
প্রথমত, দুধের সর এবং বেসন – বেসন অনেকদিন থেকে প্রাকৃতিক উপাদান হিসাবে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দুধের সরের সঙ্গে বেসন, সমপরিমাণে মিশিয়ে যদি পিছিয়ে গলায়, হাতে, মুখে বেশ খানিকক্ষণ লাগিয়ে রেখে তারপর স্নান করে নেওয়া যায়। তাহলে ত্বক অনেক সুন্দর এবং পরিষ্কার ঝকঝকে হয়ে যায়।
দ্বিতীয়তঃ, দুধের সর এবং কফি পাউডার – অনেকেই কফি খেতে ভীষণ পছন্দ করি। তবে অনেকেই জানি না যে কফি আমাদের ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী। কফি পাউডার এর সঙ্গে প্রয়োজনমতো কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিয়ে এই মিশ্রণটি যদি ভালো করে মুখের মধ্যে লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পরে স্নান করে নেওয়া যায়, তাহলে ত্বকের ওপরে হওয়ার সমস্ত কালো দাগ নিমেষের মধ্যে দূর হয়ে যাবে। তবে যদি তাড়াতাড়ি ফলাফল পেতে চান পরপর সাতদিন স্নানের আগে এটি ব্যবহার করুন। দেখুন আপনার ত্বক একেবারে আয়নার মতন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তৃতীয়তঃ, দুধের সর ও চালের গুঁড়ো – চালের গুঁড়ো অনেক আগে থেকেই রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চালের গুঁড়োর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের উপরে মরা কোষ দূর করতে সহজেই সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে অন্তত তিন দিন প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন চালের গুঁড়ো।
চতুর্থত, দুধের সর এবং লেবুর রস – লেবুর মধ্যে আছে প্রাকৃতিক অ্যাসিড। দুধের সরের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে যদি এই মিশ্রণটি মুখের মধ্যে ভালো করে লাগিয়ে বেশ খানিকক্ষণ রেখে দেওয়া যায়, তাহলে ত্বক অনেক বেশি সুন্দর এবং পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে লেবুর রস অনেকের সহ্য হয় না, একটুখানি লাগানোর পর যদি দেখেন কোনরকম চুলকানি হচ্ছে তাহলে অবশ্যই লেবুর রস আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আমাদের বলে দেওয়া অন্যান্য উপাদান গুলি ব্যবহার করে দেখুন।
পঞ্চমত, দুধের সর এবং মধু – মধু ত্বকের জন্য অসাধারণ ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। যারা বাজারচলতি কোনরকম ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে চান না, তারা দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মিশ্রণটি ফ্রিজে অন্তত সাত দিন রেখে দিতে পারেন, এবং এই মিশ্রণটি যদি যাতে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করার পরেই লাগিয়ে রেখে শুয়ে পড়েন তাহলে ত্বক অনেক বেশি সুন্দর থাকবে। তবে অনেকেই মধুর মধ্যে থাকা চ্যাটচ্যাটে উপাদানের জন্য সারারাত রাখতে চান না, তারা এক ঘন্টার মতন রেখে মুখ ভালো করে ধুয়ে শুয়ে পড়বেন।
ষষ্ঠতঃ দুধের সর এবং অ্যালোভেরা- অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি উপাদান। ত্বক নরম করতে এবং ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা জেল। এর মধ্যে যদি কোন রকম জ্বলুনি, এলার্জি বের হয়, তাহলে অবশ্যই অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে দুধের সর ভালো করে মিশিয়ে রাতের বেলা লাগিয়ে শুয়ে পড়তে পারেন তবে দুধের সর লাগাতে যদি কারুর অসুবিধা হয়, তাহলে দুধের সরের সঙ্গে অ্যালোভেরা ভালো করে মিশিয়ে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।