Lifestyle: গোটা শরীরের কালো দাগ দূর করুন মাত্র ৫ মিনিটে, জেনে নিন বেসনের পাঁচটি ফেসপ্যাক
আপনি কি আপনার গায়ের রংকে পরিষ্কার করতে চাইছেন বা জেদি ময়লা দূর করতে চাইছেন? তাহলে আর কিছু নয়, কোনরকম বাজার চলতি কেমিক্যাল আপনাকে ব্যবহারই করতে হবে না ইতিমধ্যেই নিশ্চয়ই অনেক টাকা খরচ করে ফেলেছেন? নিজেকে সুন্দর করবেন বলে, তবে আর দেরি করতে হবে না বাড়িতে যদি এই কয়েকটা জিনিস থাকে তাহলে কিন্তু আপনি নিজেকে একেবারে সুন্দরী করে তুলতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে চোখ রাখতে হবে Hoophaap এর পাতায়। তাই আর দেরি না করেই চটপট দেখে নিন আপনি যদি আপনার গায়ের রংকে অনেক বেশি ফর্সা উজ্জ্বল করতে চান, তাহলে দেখে ফেলুন পাঁচটি ব্যাসনের ফেসপ্যাক।
১) বেসন, অ্যালোভেরা জেল ফেসপ্যাক- এখন শীতকাল পড়েছে অনেকেরই ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যাচ্ছে। তাই বেসনের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেলকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটির মুখে, পিঠে, গলায় খুব ভালো করে লাগিয়ে স্নান করে ফেলুন। দেখবেন আপনার ত্বক কত সুন্দর পরিষ্কার এবং নরম হয়ে গেছে বেসন থাকার জন্য ত্বকের উপরে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর তারপরে খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে এই অ্যালোভেরা জেল।
২) বেসন, পাতিলেবুর রস – যদি গায়ের রং ফর্সা করতে চান তাহলে বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলুন লেবুর রস। এই পাতি লেবুর রস যদি আপনি সমপরিমাণে বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন, তাহলে আপনার ত্বক হবে ভীষণ পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল।
৩) বেসন, ডিমের সাদা অংশ – যাদের ত্বকের ওপরে ফেসিয়াল হেয়ারের সমস্যা অনেক বেশি থাকে, তারা এই দুটি জিনিস মিশিয়ে লাগাতে পারেন, বেশ কিছুদিন লাগানোর পরে দেখবেন আস্তে আস্তে ফেসিয়াল হেয়ার এর গ্রোথ অনেকটা কমে আসছে।
৪) বেসন, পাকা কলা – সপ্তাহে অন্তত একদিন ত্বক যদি পরিষ্কার করতে চান, তাহলে অর্ধেকটা পাকা কলার সঙ্গে পরিমাণ মতন বেসন আর জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তৈরি করে ত্বকের ওপরে খুব ভালো ভাবে ঘষে ঘষে লাগিয়ে পরিষ্কার করুন, তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দেখবেন আপনার ত্বক কত সুন্দর এবং পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৫) বেসন, হলুদ গুঁড়ো – বেসনের সঙ্গে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মিশ্রণটির মুখে লাগান, তবে এটি কিন্তু রান্নায় ব্যবহার করা হলুদ নয়, এটি হল ওয়াইল্ড টারমারিক। এটি খুব ভালো করে মুখে লাগাতে পারলে আপনার ত্বক হবে দুধের মতন ফর্সা।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।