গত বছর করোনা মরশুমে লক ডাউন চলাকালীন সুসংবাদ দেন সইফিনা। জানান তাঁরা দ্বিতীয়বার মা বাবা হচ্ছেন। করিনার সুসংবাদ পেয়ে অনেকেই চমকে যান। বয়স ৪০ এ এসে দ্বিতীয়বার মা হওয়ার সাহসিকতা দেখে অনেকেই অবাক হন। তার উপর প্রেগন্যান্সি চলাকালীন পুরোদমে সিনেমার শ্যুটিং থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করে গিয়েছেন তার সাথে করেছেন শরীরচর্চা তো আবার ছেলেকে সময় দিয়েছেন। নিজের প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড দুর্দান্ত ভাবে উপভোগ করেছেন বেবো।
২১ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন করিনা কাপুর খান। এরপর খান-কাপুর পরিবার খুশির মেজাজ। দ্বিতীয় পুত্র সন্তানের জন্মের পর ১০ দিন অতিবাহিত হয়েছে তবে প্রথম থেকেই এখনো সইফিনা ছেলের মুখ কাউকে দেখাননি। এক্কেবারে বিরাট-অনুষ্কার পথে হাঁটছেন সাইফিনা। এদের বড় ছেলে তৈমুর যতটা হাইলাইট পেয়েছে ততটাই এবারে ছোট ছেলেকে সব কিছুর থেকে দূরে রাখছেন। এরপর আগের সপ্তাহে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল থেকে নিজের কনিষ্ঠ সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন করিনা কাপুর খান। ছোট্ট একরত্তি বাড়ি ফেরাতে আনন্দের জোয়ার কাপুর আর পতৌদি বাড়িতে। নবজাতককে নিয়ে বাড়িতে ফেরার পর একে একে করিশ্মা কাপুর, সোহা আলি খান, কুণাল খেমুরা, সারা আলি খান দেখতে আসেন তাঁদের। করিনার মা ববিতা কাপুর নিজের মেয়ে আর নাতিকে দেখতে এসেছিলেন সইফ-করিনার বাড়িতে।
প্রথম থেকে সইফিনা নিজেদের দ্বিতীয় সন্তানকে সকলের আড়ালে রাখলেও সম্প্রতি ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন সকালে করিনা নবজাতককে প্রথম পরিচয় করিয়ে দেন তাঁর লক্ষ লক্ষ ফ্যানের সঙ্গে। যদিও সেই ছবিতে নবাব পরিবারের খুদে সদস্যের মুখ দেখা যায়নি। কিছুদিন আগে নিজের কাছের বন্ধুদের সঙ্গে গার্লস পার্টিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন করিনা। যেখানে করিশ্মার পাশাপাশি দেখা যায় মালাইকা অরোরা, অমৃতা অরোরা, নাতাশা পুনাওয়ালা। এদের পাশাপাশি যোগ দিলেন মণীশ মালহোত্রা আর সইফ। নিমেষে ভাইরাল হয় গার্লস গ্যাঙ্গের এই পার্টি।
দ্বিতীয় সন্তান জন্মের ঠিক ১৮ দিনের পর তৃতীয়বার গ্ল্যামার কুইন বেবো প্রকাশ্যে এলেন। আগের মতো মারকাটারি ফিগার আর গ্ল্যামার যেন ঠিকরে বেরোচ্ছে। দ্বিতীয়বার মা হওয়ার পরে বাড়িতে সূর্যের আলো মুখে মেখে নিলেন অভিনেত্রী।রোদমাখা সেই ছবিতে সাদামাটা লুকে প্রকাশ্যে এলেন। কালো টিশার্ট আর খোলা চুলে ছবি তুললেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ঠিক আছে আমি আরও অনেক কাপড় এবং ডায়াপারের জন্য প্রস্তুত। অন্যবারের মতো এই ছবি ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি।