বহু চেষ্টা করেও চাকরি হচ্ছে না, সংসারে অর্থকষ্ট, কাজে আসবে তেজ পাতার এই টোটকা
রান্নায় ব্যবহৃত একটি অসাধারণ উপাদান হলো তেজপাতা। তাইতো পায়েস থেকে শুরু করে মাংস সমস্ত পথেই ব্যবহার করা হয় তেজপাতা। কিন্তু শুধুমাত্র খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতির দিকে নজর থাকে তেজপাতার। শতাব্দী প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে তেজপাতা। তেজপাতা কিভাবে আপনার জীবনে সুদিন আনতে পারে চলুন জেনে নি।
আমরা সন্ধ্যেবেলা অনেকেই ধূপ, ধুনো জ্বালিয়ে থাকি। ধুনোর মধ্যে যদি কয়েকটা তেজপাতা দিয়ে দেওয়া যায় অথবা তেজপাতা যদি আলাদা করে বেশ কিছুক্ষণ সময়ের জন্য পোড়ানো যায়, তাহলে আপনার বাড়ির সমস্ত নেগেটিভ এনার্জি চলে যাবে।
শুধু তাই নয়, তেজপাতার মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যা পোড়ানোর সাথে সাথে সেই বায়ু আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে যখন আমাদের শরীরে যায় তখন আমাদের শরীরে এক দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। যারা দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন কিংবা যাদের বাড়িতে এমন রোগী রয়েছে তারা সর্বদা প্রতিদিন একটা নিয়ম করে একমুঠো পাতা জ্বালান।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রতিদিন রাত্রে শুতে যাওয়ার সময় যদি ঘরের কোণে দুটো তেজপাতা জ্বালিয়ে রাখা হয় এবং সেই বায়ু যদি আমরা গ্রহণ করি তাহলে নিমেষের মধ্যে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। যারা মানসিক অবসাদের ভুগছেন তাদের জন্য এই টোটকাটি অসাধারন একটি টোটকা।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, সপ্তাহে যদি দুদিন এই তেজপাতা পোড়ানোর বায়ুটিকে গ্রহণ করা যায়, তাহলে মস্তিষ্ক অনেক বেশি সচল থাকে। আর মস্তিষ্ক সচল থাকবে শরীর অনেক দূরে থাকবে কাজেও মন দেওয়া যাবে যাতে অর্থনৈতিক সমস্ত সমস্যা দূর হবে। তেজপাতা পোড়ানোর বায়ু গ্রহণ করে সুগার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ হয়েছে এমনটাও জানা গেছে।
সপ্তাহের অন্য দিনগুলো যদি সম্ভব না হয় সপ্তাহের একটি দিন রবিবার একমুঠো তেজপাতা নিয়ে পোড়ানো যায় তবে সহজে আর্থিক সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে প্রত্যেকেই কম-বেশি অর্থ সংকটে ভুগছেন। তাই আর দেরি না করে সামান্য এই টোটকা টি করে দেখুন। এর মধ্যে কোন কুসংস্কার নেই। তেজপাতা পোড়ানোর বিষয়টি এই বহু প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে।