Business idea: মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বাড়ি থেকে শুরু করুন এই নতুন ব্যবসা, প্রতিমাসে লাখ টাকা লাভ
কম টাকাতে কাগজের প্লেট তৈরি করার ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারেন
আজকালকার দিনে সবাই কাজের পাশাপাশি নিজের একটা আলাদা ব্যবসা করতে চাইছেন এবং সেই কারণেই ভারতে আজকের দিনে ব্যবসার একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নতুন কোন ব্যবসা নয় বরং যে ব্যবসায় লাভের গ্যারান্টি থাকে সেই ব্যবসা করতেই মানুষ বেশি চান। এরকম একটি ব্যবসা হল কাগজের প্লেটের ব্যবসা। বিভিন্ন ধরনের প্রসাদ দেওয়া থেকে শুরু করে ভোজ খাওয়ানো, সব জায়গাতেই কাগজের প্লেটের একটা চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি প্লাস্টিক এবং থার্মোকলের প্লেট ব্যান হওয়ার কারণে আজকের দিনে কাগজের প্লেটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। পেপার প্লেট ব্যবসা শুরু করার আগে আগে আপনাকে বাজারে প্লেটের চাহিদা দেখে নিতে হবে। তারপরেই আপনি কিন্তু এই ব্যবসায় নামতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে কি কি জানতে হবে।
প্লেটের মান এবং সাধারণ মানুষের পছন্দ এবং চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্লেট তৈরি করতে হবে আপনাকে। পাইকারি বাজারের পাশাপাশি রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে খাবারের স্টল এবং ক্যাটারার এর মতো জায়গায় এখন কাগজের প্লেটের চাহিদা বেড়েছে। আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে প্লেট বিক্রি করতে পারেন এবং এর ফলে আপনার ব্যবসা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।
যেকোনো ব্যবসার মূল লক্ষ্য হলো কম টাকা বিনিয়োগ করে অধিক মুনাফা অর্জন করা। তবে কম টাকা বিনিয়োগ করলেও, যে জিনিস আপনি তৈরি করছেন তার মান ভালো হতে হবে। কাগজের প্লেট তৈরির ব্যবসা খুলতে আপনার প্রয়োজন হবে ভালো মানের প্রিন্টেড পি ই পেপার। এছাড়াও লাগবে বটম রিল, অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রিন্টিং মেশিন।
আপনি অনলাইনে কাঁচামাল এবং কাগজ কিনে নিতে পারেন। তবে মেশিন কেনার জন্য আপনাকে অবশ্যই যে কোন একটা দোকানে যেতে হবে। ম্যানুয়াল মেশিন হওয়ার পাশাপাশি অটোমেটিক মেশিনও পাওয়া যায় তবে তার দাম বেশি হয়। এই ব্যবসার বেশিরভাগ কাজই মেশিনের উপরে নির্ভরশীল। যেকোনো শহর বা মফস্বল এলাকায় এই মেশিন কিনে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে শুরুতে অল্প খরচে ম্যানুয়াল মেশিন কিনুন। ১৫০০০ টাকায় আপনি একটি মেশিন কিনে ফেলতে পারবেন।
এটি যেহেতু একটি লাভজনক ব্যবসা তাই কিছু প্রয়োজনীয় লাইসেন্স এবং সরকারি অনুমতির প্রয়োজন হবে যাতে ব্যবসা সরকারের নজরে থাকে। এই ব্যবসা ছোট আকারের হলেও এর জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে আপনাকে। উৎপাদনের সময় যাতে কোনো রকম বাধা না আসে তার ব্যাপারে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণত কোন উৎপাদনকারী প্রতি প্লেটের দাম ৮০ পয়সা রাখেন। যদি এই দাম রাখা হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখবেন।