Income Tax On Pension: পেনশনভোগীরা কিভাবে আয়কর রিটার্ন থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবেন, জেনে নিন

চাকরি হোক বা ব্যাবসা, আয় থাকলেই আয়ের উৎস থাকবে এবং সরকারকে কর দিতে হয়। ইনকাম ট্যাক্স অফিসারেরা বসে থাকেন নির্দিষ্ট কর আদায়ের জন্য। বিশেষত, চলতি মাস হল ট্যাক্স প্রদান করার জন্য উল্লেখযোগ্য মাস। আপনারা জানেন যে চলতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বেতনভুক কর্মচারীদের আয়কর রির্টার্ন জমা করার নির্দেশ দিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডায়রেক্ট ট্যাক্স।

নতুন কর ব্যবস্থা অনুসারে যাদের বার্ষিক উপার্জন ৩ লাখ পর্যন্ত, তাদের ট্যাক্স স্ল্যাব শূন্য। যাদের উপার্জন ৩ থেকে ৬ লাখের মধ্যে, তাদের ৫ শতাংশ। ৬ থেকে ৯ লাখের জন্য ১০ শতাংশ, ৯ থেকে ১২ লাখের জন্য ১৫ শতাংশ ও ১৫ লাখের উপরে ৩০ শতাংশ। এই হল কর ব্যবস্থার নতুন নিয়ম। এক্ষেত্রে আরো একটি ব্যাপার জানা দরকার, জীবনী বিমা প্রিমিয়ামে যদি আপনি বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার বেশি করেন, তাহলে ১ লা এপ্রিল ২০২৩ থেকে তা করের আওতায় পড়বে। কিন্তু, যারা সদ্য চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও কি একই নিয়ম? বিশেষত পেনশনভোগীরা কি কর রিটার্ন এর জন্য ফাইল করতে পারেন বা এই পদ্ধতি কি?

ঘটনা হল, যারা সদ্য চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, অর্থাৎ, যারা প্রবীণ নাগরিক তারা আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে পারেন। এক্ষেত্রে, ফর্ম 16A ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইনে নিজের রিটার্ন দাখিল করতে চাইলে incometax.gov.in -এ যান, এবং সঠিকভাবে ফর্ম ফিল আপ করুন।

যেই সমস্ত প্রবীণ নাগরিকরা তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেনশন পান, তাঁরা পুরনো কর ব্যবস্থায় আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন, অর্থাৎ ট্যাক্স স্ল্যাব শূন্য।। পাশাপাশি নতুন কর ব্যবস্থা অনুযায়ী, আড়াই লক্ষ টাকার নীচে বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে প্রবীণরাও কর ছাড় পাবেন। পেনশনভোগীরা আরো বিশেষ কিছু উপায় কর ছাড় প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। যদি কোনো ষাট ঊর্ধ্ব ব্যাক্তি, জীবন বীমা প্রিমিয়াম, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, কেন্দ্রীয় সরকারের পেনশন স্কিম এবং LIC-র অ্যানুইটি প্ল্যানে বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে, 80C, 80CCC এবং 80CCD -এর অধীনে ট্যাক্স ছাড় পেতে পারেন।