Onion Price: ৪০ থেকে একলাফে ৮০! এইসব কারণেই রাজ্যে অগ্নিমূল্য হচ্ছে পেঁয়াজ
দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজো পেরিয়ে গিয়েছে। আর এই উৎসবের মরশুম পেরিয়ে যাওয়ার পর দিন দিন অগ্নিমূল্য হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্য। সবজি থেকে মাছ-মাংস, মশলাপাতি থেকে শুরু করে চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বাড়ছে দিনের পর দিন। আর এই বিষয়টি এখন শুধুমাত্র বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে হচ্ছে না, বছরের সব মাসেই এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়ছে গোটা দেশে। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার।
তবে এই পুজোর পর বাঙালির নাভিশ্বাস বাড়াচ্ছে পেঁয়াজের দাম। কারণ পুজোর পরেই আচমকা অগ্নিমূল্য হয়ে গিয়েছে হেঁসেলের এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসটি। বলা যায়, পেঁয়াজের নয়, পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝে চোখে জল আসছে বাজারমুখী খরিদ্দারদের। কারণ উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই গত কয়েকদিনে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মধ্যবিত্তদের হেঁসেলে চালানোটাই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ পেঁয়াজ ছাড়া কিছুই হয়না।
এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রায় সব বাজারেই ছবিটা একরকম। যেখানে এক সপ্তাহ আগে অবধি প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হত ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে, সেখানে পেঁয়াজের দাম এখন গিয়ে ঠেকেছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজিতে। বুধবার পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে কোচবিহারে রয়েছও ৭০ টাকা, মালদা এবং দুই দিনাজপুর ও নদিয়া জেলায় রয়েছে ৭০-৮০ টাকা, উত্তর ২৪ পরগনার বেশিরভাগ বাজারে রয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও ৮০ ছুঁই ছুঁই।
কিন্তু কেন আচমকা এভাবে দাম বাড়ল পেঁয়াজের। অনেকেই অনেক সম্ভাব্য যুক্তি বললেও সেভাবে কোনোটাই গ্রহনযোগ্যতা পায়নি। অনেকেই মনে করছেন যে এখনো দেশি পেঁয়াজ বাজারে যেমন আসেনি, তেমনই একইভাবে ভিনরাজ্যে থেকে আমদানিজাত পেঁয়াজের যোগান পুজোর আগে থেকেই কমে গিয়েছে। পাশাপাশি, এই সময় পেঁয়াজের পচন বৃদ্ধি পায়। তাই চাহিদা বজায় থাকলেও পেঁয়াজের যোগানের ওভাবেই এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও এর মাঝে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়টিও উঠে আসছে নানা আলোচনায়।